
The Truth of Bengal: হারের পর হার। হারের হ্যাট্রিক করা মোহনবাগান কবে ঘুরে দাঁড়াবে ? কবে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটবে ? এই প্রশ্ন যখন বড় হয়ে উঠেছিল তখনই কামিস সাদিকুরারা জয় উপহার দিল সমর্থকদের । হারের গ্লানি নিয়ে বছর শেষ করলেও নতুন বছর শুরু করেছে জয়ের সরনী থেকেই । সুপার কাপে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে মোহনবাগান । গতবারের আইএস এল জয়ীদের অবস্থা ২০২৩ এর শেষের দিকে শোচনীয় হয়ে উঠেছিল । দলের ভিতরেও খন্ড খন্ড দল তৈরি হওয়া। কোচের ভুল পরিকল্পনা দলকে ডুবিয়েছে। একের পর এক ম্যাচে হারতে হয়েছে । তবে কোচ বদল হতেই জয়।
মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো কে বদলে নতুন কোচ আনতেই নতুন বছরের শুরুতে সুপার কাপে জয় দিয়ে ফের জাত চেনালো মোহনবাগান । ম্যাচ শেষে সাদিকু, কামিন্স, দিমিত্রিদের হাসিমুখ গুলো বলে দিচ্ছিল এই জয়ের জন্য কতটা অপেক্ষা করতে হয়েছে । এই জয় তাদের কতটা তৃপ্তি দিয়েছে। মোহনবাগান এর নতুন কোচ হয়েছেন হাবাস তবে এখনো তিনি দলে যোগ দেননি । তার অনুপস্থিতিতে দলের সব কিছু সামাল দিচ্ছে সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। যে কাজ করতে পারেনি জুয়ান ফেরান্দো সেই কাজ করে দেখালেন সহকারী কোচ।
প্রথম থেকে আক্রমণের ঝাঁজ বজায় রেখেছিল শ্রীনিধি। প্রথমে তারায় গোল করে আর সেই গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। ৩৯ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় কামিংস। তৃতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে মোহনবাগান। একাত্তর মিনিটের মাথায় আসে দ্বিতীয় গোল। সেই গোল আর শোধ করে উঠতে পারেনি শ্রীনিধি। ফলত দু গোলে জয়ী হয় মোহনবাগান। কোচ বদলের ফলেই এই জয় এসেছে বলে সমর্থকদের মধ্যে থেকে আওয়াজ উঠেছে।