রাজ্যের খবর

নদীর ওপর মাটি ফেলে রাস্তা, দাবি উঠছে পাকা ব্রিজের, সমাধানের আশ্বাস পঞ্চায়েত সমিতির

Temporary road

The Truth of Bengal: বছর তিনেক আগে বন্যায় ভেঙে যায় কাঠের সাঁকো। নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা ছিল নৌকা। বর্তমানে জল কমতেই নদী পারাপারের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে নদীর ওপর মাটি ফেলে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়েই চলছে যাতায়াত। নদীর উপর এভাবে রাস্তা তৈরি করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবি, সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই বাধ্য হয়ে এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষীবাড় এলাকায় কেঠিয়া নদীতে। নদী পেরিয়ে যাতায়াত করে ভগবন্তপুর-১ ও ভগবন্তপুর -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০-১৫টি গ্রামের। পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশাপাশি এই নদী পেরিয়ে যেমন একদিকে পাশ্ববর্তী হুগলি জেলার সংযোগ রয়েছে, তেমনই বাঁকুড়ায় যাতায়াত রয়েছে। আপাতত অস্থায়ী ব্যবস্থা হয়েছে। তবে এলাকার মানুষ চাইছে সেখানে একটি কংক্রিটের সেতু। যাতে নদী পারাপারের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি মেলে।

ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশরাফুল মল্লিক অবশ্য দীর্ঘ দিনের এই নদী পারাপারের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পঞ্চায়েতের তরফে নদী ওপর মাটির রাস্তা তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তিনি জানান, কৃষিপ্রধান এলাকা. আর এই রাস্তার গুরুত্ব অনেকটাই। তাই সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে নদীতে জল না থাকায় এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

এলাকার মানুষ নদী পারাপারে স্থায়ী সমাধানের জন্য কংক্রিট সেতুর দাবি জানিয়ে আসছে। বাম আমল থেকে এই দাবি করে এলেও আজও তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি। কংক্রিট সেতু তৈরির জন্য পঞ্চায়েতের তরফে ব্লক থেকে জেলা এমনকী রাজ্যস্তরেও জানানো হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতি। এখন সেই আশায় অপেক্ষায় এলাকার মানুষ।

Related Articles