
The Truth of Bengal: অনেকসময়ই পুলিশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরির চেষ্টা হয়।বামআমলে বলা হত,পুলিশ যত মারো মাইনে তোমার একশবারো।কিন্তু এখন সেই পুলিশ সম্পর্কে ধারণাটাই বদলে গেছে। মানবিক কাজে পুলিশের দায়বদ্ধতা ও উত্সাহকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সবমহলই। কোভিডের সময় পুলিশ কর্মীদের দেখা যায়,রোগী থেকে গৃহবন্দি মানুষকে খাবার পৌঁছে দিতে। কখনও আবার সুরেলা কন্ঠে গান গেয়ে আইনের রক্ষকরা একঘেয়েমি কাটান গৃহবন্দি মানুষের। এখনও অনেক পুলিশ কর্মী আছেন যাঁরা কর্তব্যের বাইরে গিয়ে স্বেচ্ছায় সেবা করেন।
সেরকমই এক নজির তৈরি করেছেন উঃদিনাজপুরের চোপড়ার বাপন দাস। তিনি কলকাতা পুলিশে কর্মরত,ছুটি পেলেই সোজা চলে আসেন বাড়িতে। পথের ধারে ক্লান্ত পথিক বা অসহায় বৃদ্ধার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।সেবার সাহায্যে সুস্থ করার চেষ্টা করেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের।গ্রামে গ্রামে উত্তর দিনাজপুরের মতোই দার্জিলিং এ তাঁর সংগঠন রয়েছে। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল ও শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের রক্ত সঙ্কট দূর করতে রক্ত দান শিবিরও করে থাকেন তিনি।
রক্তদাতাদের কার কোন গ্রুপের রক্ত তা মনে রাখার জন্য অভিনব পদ্ধতিতে মোবাইলে সবার নামের পাশে সেই ব্যক্তির রক্তের গ্রুপও লিখে সেভ করেন।রক্তসংকট দূর করতে তাঁর এই গণ-আন্দোলন সমাজে আলো ফেলছে।আগামী বছরে আরও অনেক মানুষ এভাবেই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এলে সমাজে নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটাবে বলা যায়।শুধু রক্তদান করাই নয়,রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে হঠাৎ যদি কোনো ভবঘুরে বা মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের দেখা পান, তাহলে সেই মানুষের প্রতি হাত বাড়িয়ে দিতে কুন্ঠা করেন না এই রক্ষক।