
The Truth of Bengal: সপ্তাহখানেক আগের কথা। চলতি মাসের ১৯ তারিখ কসবা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ডাঃ জি.এস. বোস রোডের এক বাসিন্দা। অভিযোগ, ৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর বাড়ি থেকে চুরি হয়ে গেছে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার সোনার গয়না, সঙ্গে ১০ হাজার টাকা নগদ। সন্দেহের তালিকায় একজন-দুজন নয়, একেবারে সাত সাতজন ব্যক্তি। উল্লেখ্য, একটি এজেন্সি থেকে পরিচারিকা আসে তাঁর কাছে, সুতরাং ঠিক কে যে গয়না সরিয়েছেন, তা বলা সম্ভব নয়।
তবে একজন সন্দেহভাজন সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত যে তিনি দোষী হতেই পারেন না। নাম শম্পা জানা, বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর থানা এলাকায়। কসবা থানার সাব-ইনস্পেক্টর অতনু মজুমদার তদন্তে নামেন , প্রত্যেক সন্দেহভাজনের সঙ্গে কথা বলে আসল দোষী সম্পর্কে নিশ্চিত হন তিনি। বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পর একমাত্র একজনের বয়ানেই ধরা পড়ল বিস্তর অসঙ্গতি — শম্পা জানা।
কসবা থানার তদন্তকারী আধিকারিকের সামনেই নিপুণ জেরার সামনে ভেঙে পড়ে শম্পা, জানায়, গয়না পাচার হয়ে গেছে তার প্রেমিক বিশ্বজিৎ দাসের কাছে, বাড়ি দত্তাবাদ এলাকায়। সেই বয়ানের ভিত্তিতে কসবা থানা তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক হানা দেয় বিশ্বজিতের বাড়িতে, উদ্ধার হয় সমস্ত খোয়া যাওয়া গয়না। জানা যায় গয়না পাচারের ফন্দি ছিলো বিশ্বজিতের। এরপর গ্রেফতার করা হয় শম্পা এবং বিশ্বজিতকে। এর পিছনে আর কারা কারা রয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বার করতে চাইছেন কসবা থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা।