শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে ঘুড়ি ওড়ানো, বিপদ চিনা মাঞ্জার সুতোয়…
Children are advised to enjoy kite flying with caution during Makar Utsav

The Truth OF Bengal: শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে ঘুড়ি ওড়ানোর চল রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। অন্যান্য রাজ্যের মতোই মকর সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ দেখা যায়। আর এই ঘুড়ির লড়াইয়ে এখন বড় ভরসা চিনা মাঞ্জা। চিনা মাঞ্জার বিপদ বুঝে প্রশাসন প্রচার চালালেও দুর্ঘটনা এড়ানো যায় না।তাই এই মকর উত্সবে ছোটদের সতর্কতার সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দ উপভোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বড়রা।
আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক, মাটিতে অবজ্ঞা- কবির সুমনের এই সুরের জাদুই জানান দেয় ঘুড়ি ওড়ানোর আলাদা আনন্দের কথা। বিশ্বকর্মার মতোই মকর সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি রয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গে।সকাল থেকেই আকাশ ছেয়ে যায় ঘুড়িতে।আয়োজন করা হয় রঙিন ঘুড়ির প্রতিযোগিতাও।বাংলার এই প্রান্তিক সময়ের উত্সবের জন্য রং-বেরংয়ের ঘুড়ি তৈরির উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে।দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গাতেই থরে থরে সাজানো রং বে রঙের ঘুড়ি-লাটাই। এ ছাদ থেকে ও ছাদ চলবে প্রতিযোগিতা। মকর সংক্রান্তিতে পিঠে বিলাসের মাঝে অন্যতম অঙ্গ হল এই ঘুড়ি উৎসব। বেশকিছু জেলায় আয়োজন করা হয় ঘুড়ি প্রতিযোগিতারও।বড়রা যখন নানা কসরতের খেলায় মাতেন তখন এই বিনোদনের বরাবরের এই উপকরণ উল্লাসে বাড়তি মাত্রা জোগায়।
বাংলার মতোই ঘুড়ি ওড়ানো মকর উৎসবের একটা প্রধান অঙ্গ গুজরাটে । এই উৎসবের নাম ‘উত্তরায়ণ’। এই উৎসবের ব্যাপক ধুম লাগে। এই উৎসব আদতে সূর্যদেবের আরাধনা। মানুষ ঘুড়িকে প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করে সূর্যদেবতার কাছে নিজেদের আকুতি পৌঁছে দেয়। গুজরাতে ‘উত্তরায়ণ’ উপলক্ষে দু’দিন ছুটি থাকে। ঘুড়ি ওড়ানো হয় তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশেও। মকর সংক্রান্তি যেহেতু কৃষিকাজের উৎসব তাই এই উৎসবে প্রধান পুজো পান সূর্যদেব।বাংলাতেও এই পৌষের পিঠে পেটে পুরে ঘুড়ির জাদু দেখাতে এগিয়ে আসে জেন-জেড থেকে যুবসমাজ।তবে চিনা মাঞ্জার সুতোয় বিপদ থাকায় ঘুড়ি ওড়াতে গেলে সমস্যা হয়।চিনা মাঞ্জার কেরামতিতে আশঙ্কা যে রয়েছে তা বিক্রেতারাও মানছেন।তাই মকর সংক্রান্তির আগে ঘুড়ি তৈরি থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর জোরদার তোড়জোড় চলছে।আকাশে কাটাকুটির খেলায় বাজিমাত করার মরিয়া প্রয়াস ল্যাটাইয়ের মালিকদের।
Free Access