পরীক্ষার ৭ বছর পর অ্যাডমিট কার্ড, চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো চক্র সক্রিয়
Admit card after 7 years of examination

The Truth of Bengal: রেশ কিছু দফতরে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যা নিয়ে তদন্ত চলছে। এরই মাঝে এবার কৃষি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ভুয়ো চক্রের সন্ধান মিলল। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার ৭ বছর পর এল অ্যাডমিট কার্ড। সম্প্রতি এই অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়েছেন বর্ধমান শহরের নারকেলবাগান এলাকার বাসিন্দা আশিস ব্যানার্জি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইছেন তিনি। কার ভুলে তাঁকে এই খেসারত দিতে হল তা প্রকাশ্যে আনার দাবি করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও ভাবছেন আশিসবাবু। আশিস ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ২০১৫-১৬ সালে কৃষি দফতরে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে তিনি আবেদন করেন। বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় রাজ্য কৃষি দফতরে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে ৮১৮ জন নিয়োগ করা হবে।
যোগ্যতা ছিল উচ্চমাধ্যমিক। সেই মতো আশিসবাবু আবেদন করেন। কিন্তু আবেদন করার পর থেকে প্রায় সাত বছর তাঁর কাছে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড বা আনুষঙ্গিক কিছুই আসেনি। এরপর হঠাৎই গত ১ নভেম্বর দুপুর একটা নাগাদ ডাকযোগে কৃষি দফতর থেকে পাঠানো সেই পরীক্ষার একটি অ্যাডমিট কার্ড পান তিনি। যা পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হন আশীষবাবু। কিন্তু অ্যাডমিট খুলেই হতবাক হন। তিনি দেখতে পান পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর। প্রায় সাত বছর আগে হয়ে যাওয়া চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট তিনি পেলেন এখন। যা দেখে মুষড়ে পড়েন।
কার ভুলে এমন হল? কেন তিনি চাকরির পরীক্ষা দিতে পারলেন না তা জানতে চান আশিসবাবু। যাদের কারণে তিনি এই সুযোগ পেলেন না তাঁদের শাস্তি দাবি করেছেন।এই ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হতেই প্রশাসন জানিয়েছে, কৃষি দফতরের এই ধরনেরর কোনেও নিয়োগ হয়নি। কৃষি দফতরে নিয়োগ হয় পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু এই যে অ্যাডমিট কার্ড দেখা যাচ্ছে সেটিতে এসএসসি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গোটাটাই ভুয়ো বলে জানিয়েছে প্রশাসন। কিছুদিন ধরে নানা রাজ্যের নানা জায়গা থেকে এই ধরনের খবর আসছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গায় এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে। যে ভুয়ো চক্র আছে এর পেছনে তার উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
Free Access