
The Truth of Bengal: দেশ রক্ষার লড়াইতে বরাবরই মেদিনীপুর এগিয়ে ছিল। মাতঙ্গিনীর মতোই মাটির মানুষেরা সেদিন সংঘবদ্ধ আন্দোলনে সামিল হয়। বিপ্লবীদের গোপন ঘাঁটিও ছিল রামনগরের চন্দনপুরে। দেশমাতৃকার মর্যাদা রক্ষায় সেদিন উত্তাল আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এখানকার চৌধুরীদের জমিদার বাড়ি থেকে। ৪২এ স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এই গোপন ঘাঁটি থেকেই বিপ্লবের বারুদ ছড়িয়ে পড়ে। স্বাধীনতা আন্দোলনের স্ফূলিঙ্গ সেদিন এখানকার অগ্নিপুত্রদের মাথা থেকেই বেরিয়ে আসে।তাই প্রতিশোধস্পৃহা থেকে শাসক ইংরেজ জমিদারদের পুজোয় আগুন লাগিয়ে দুঃশাসনের স্পর্ধা দেখায়।
প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকা সেই পুজোই এখন সামাজিক ঐক্যের বলিষ্ঠ ভূমি হয়ে উঠেছে।জমিদার পুলীন বিহারী চৌধুরী ও ভূধর চৌধুরীর বংশধর রজতবরণ চৌধুরীর হাত ধরে শুরু করা পুজোর গৌরব ধরে রাখার চেষ্টা করেন বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা। মেদিনীপুর এর স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক না বলা কাহিনী জড়িয়ে আছে এই চন্দনপুর গ্রামের সাথে। চন্দনপুর এর চৌধুরী বাড়ি অর্থাৎ তৎকালীন জমিদার বাড়িতে আজও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বাক্ষর বহন করে।
ইংরেজদের পুড়িয়ে দেওয়া চন্দনপুর জমিদার বাড়িতে ঘটা করে পুজো করেন মহেন্দ্র চৌধুরী। 250 বছরের পুজোয় প্রতিমা নির্দিষ্ট রয়েছে সেই ৬ ফুটের।দর্শনার্থীদের অন্ন ভোগ খাওয়ানোর রীতি ছিল আগে।এখন জৌলুস কমলেও দেশভক্তির আবেগময় পুজোকে ঘিরে পরিবারের প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে।রামনগরের চৌধুরী বাড়ির পুজোর মণ্ডপে দেখা যায় সাবেকী প্রতিমা।তাই থিমের লড়াইয়ের ভিড়ে হারিয়ে না গিয়ে স্বতন্ত্র-স্বাধীন সত্তা নিয়ে এই পুজো এগিয়ে চলুক চায় এবাকার মানুষও।
Free Access