
The Truth of Bengal: পুজোয় নিরিবিলিতে কাটাতে হলে পর্যটকের মন ভ্রাতে পারে মালদার আদিনা। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে ঠাঁই পেলেও এখনও বড় অংশের পর্যটকদের কাছে কার্যত অনাবিষ্কৃত মালদার আদিনা। এখানে রয়েছে আদিনা ফরেস্ট ও মিনি জু। যেখানে ডুয়ার্সের মতোই আকর্ষণীয় জঙ্গল। ডিয়ার পার্ক, বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই-ও দেখতে পাবেন পর্যটকরা। মন ভরাবে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের কলতান।
ঈত আশার আগেই ইতিমধ্যেই আদিনা ফরেস্টে বাসা বেঁধেছে প্রায় আট হাজার পরিযায়ী পাখি। এতো গেল ফরেস্টের কথা। ইতিহাস পিপাসুদের জন্য আদিনাতে রয়েছে বাংলায় সুলতানি আমলের শিল্প উৎকর্ষের অনন্য নজির প্রায় সাড়ে ৬০০ বছরের বেশি পুরনো আদিনা মসজিদ। যা তৈরি করেছিলেন তৎকালীন বাংলার সুলতান সিকন্দার শাহ। একসময় এই আদিনা মসজিদ ছিল এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম মসজিদ। পৃথিবীর বিখ্যাত সিরিয়ার রাজধানীর দামাস্কাসের উমাইয়া মসজিদের সঙ্গে শিল্পকলায় মিল রয়েছে এই মসজিদের।
এর কারুকার্যে বাংলা, আরব, ফার্সি ও বাইজেন্টাইন স্থাপত্যের মেলবন্ধন চোখে পড়ে। আদিনা মসজিদের বিশেষত্ব ছিল, এখানে সাধারণ প্রজাদের সঙ্গে একই সঙ্গে নামাজে অংশ নিতেন সুলতান। সেই ইতিহাস দেখতে এখন বহু পর্যটক সছে মালদায়। জায়গাটিকে আরও সাজানোর কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। আদিনাতে রয়েছে সবুজ গালিচার মতো সুন্দর আদিনা ইকোপার্ক। যেখানে কয়েকশো রকম গাছ আর বিনোদনের হরেক উপকরণ আছে। পুজোর সময় পর্যটকদের কাছে আদিনা ভ্রমণ এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে। বলছেন এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকরাই।
Free Access