রাজ্যের খবর

বহরমপুরের সেন বাড়ির পুজোর মাহাত্ম্য, বিধবা কন্যার হাতে শুরু হয় পুজো

Durga Pujo 2023

The Truth of Bengal: মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে এক অন্যতম হল সেন বাড়ির পুজো। এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বাবু রাধাকৃষ্ণ সেন। বহরমপুরের খাগড়া এলাকার নতুন বাজারের সেই সব বাড়িতে ঐতিহ্য-ইতিহাস মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। এখনও প্রতিটি ইটের গায়ে রয়েছে ইতিহাস। অবিভক্ত বাংলার সাব জজ তথা বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রথম এফএ রাধাকৃষ্ণ সেন। আনুমানিক ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে দুর্গা পুজোর সূচনা করেন তিনি।

যদিও সেন বাড়িতে মূল ভূমিকা নেন তারই বাল্য বিধবা কন্যা বিন্দুবাসিনী দেবী। দুর্গাপুজোর আগে থেকেই জগদ্ধাত্রী পুজো করতেন তিনি। পরম্পরা অনুযায়ী সোজা রথের দিন পুরোহিত ও কারিগর প্রতিমার কাঠামোতে গঙ্গামাটি প্রলেপের মাধ্যমে পুজোর সূচনা করেন। ১৮৯৬ শালে যে শাল কাঠের কাঠামোতে পুজো শুরু হয়েছিল, আজও সেই কাঠামোতেই পুজো হয়। যেহেতু রাধা কৃষ্ণ সেনের বিধবা কন্যা বিন্দুবাসিনী দেবী এই পুজোর সূচনা করেছিলেন, সেই কারণে সেন বাড়িতে সমস্ত মেয়ে বউদের ভূমিকা বরাবরই উল্লেখযোগ্য।

পরিবারের বধূ সুলেখা গোপ জানান, পুজোতে পরিবারের সকলে একত্রিত হন। খুব আনন্দের সঙ্গে কাটে দিনগুলো।জমিদার যোগেশ চন্দ্র সেনের সময় কালকে বাড়ির দুর্গাপুজোর স্বর্ণযুগ বলা হয়। পুজো উপলক্ষে সেন বাড়িতে বসতো চাঁদের হাট। আসতেন কাশিমবাজারের মহারাজ মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী, কমলা রঞ্জন রায়, স্থানীয় জমিদার হরিবাবু সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। কয়েক শতাব্দী পর এই পুজোর মাহাত্ম্য আজও একইরকম আছে।

Free Access

Related Articles