
The Truth of Bengal, Mou Basu: একমুঠো বাদামই লুকিয়ে জিয়নকাঠি। একমুঠো বাদামেই কমবে মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। Clinical Nutrition নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ওই গবেষণাপত্র। গবেষকদের দাবি প্রতিদিন একমুঠো কমপক্ষে ৩০ গ্রাম বাদাম খেলেই মানসিক অবসাদের আশঙ্কা কমবে অন্তত ১৭%। ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৩,৫০০ জন ব্রিটেনবাসীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। যাঁদের ওপর গবেষণা চালানো হয় তাঁরা মানসিক অবসাদ কমাতে কোনো রকম ওষুধ খাননি।
বাদামে কী কী পুষ্টি মেলে-
বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভিটামিন ই পাওয়া যায় যা মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
ওয়ালনাট বা কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যাঁদের কম থেকে মাঝারি পরিমাণে মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ আছে তাঁরা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেলে মানসিক অবসাদ দূর হয়।
সাম্প্রতিক নানান গবেষণায় দেখা গেছে আমন্ড বাদাম, পেস্তা বাদাম ও কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফেনোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায় যা মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ কমায়।
কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান নামক পদার্থ আছে যা মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ কমায়।
চিনেবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাইখাই ভাব কমায়। হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে। শরীরে ফোলা ভাব কমায় আর রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। চিনেবাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে বলে তা শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে রক্ষা করে। চিনেবাদাম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ক্যালরি ও ফ্যাট কম থাকে বলে চিনেবাদাম খেলে বেলিফ্যাট বা পেটের চর্বি কমে।
এছাড়াও সব রকমের বাদামে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় যা মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। মনের অবস্থা ঠিক রাখে। বাদামে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড আর পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে যা মস্তিষ্কের কোষকে রক্ষা করে। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে।