
The Truth of bengal: ভারতের সুইজারল্যান্ড কোন শহরকে বলা হয় এই নিয়ে বেশ মতাভেদ রয়েছে। বরং বলা চলে, একটা ছোটোখাটো তালিকা রয়েছে। সেখানে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে শুরু করে হিমাচলের অফবিট খাজ্জিয়ারেরও নাম রয়েছে। আর ওই তালিকাতেই নাম রয়েছে উত্তরাখণ্ডের কৌসানির। উত্তরাখণ্ড রাজ্যের বাগেশ্বর জেলার কাছে অবস্থিত, কৌসানি তার অবিশ্বাস্য নৈসর্গিক জাঁকজমক জন্য বিখ্যাত । দিল্লি থেকে ৪১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । কৌশানি শব্দটি এসেছে কুমায়নি শব্দ থেকে। কৌশানি থেকে ত্রিশূল শৃঙ্গের সৌন্দর্য্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। উত্তরবঙ্গে গিয়ে সবাই যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে মুগ্ধ হন তেমনই কৌশানি থেকে দেখতে পাওয়া ত্রিশূল শৃঙ্গও সকলকে মুগ্ধ করবে। এছাড়াও কৌশানি থেকে দেখা যায় বানর পুচ্ছ এবং পঞ্চাচুলি পর্বতশৃঙ্গ।
এখানকার আবহাওয়া সারা বছরই মনোরম। এই অঞ্চলের এক শ্রেণির মানুষ আজও সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে থাকেন। পাহাড়, হ্রদ, আশ্রম মন্দিরে এই গ্রামটি পরিপূর্ণ। অনাশক্তি আশ্রম, লক্ষ্মী আশ্রম, সুমিত্রা নন্দন পন্ত সংগ্রহালয়, কৌশানি টি এস্টেস্ট, রুদ্রধারী গুহা যেমন ঘুরে দেখা যায় তেমনই ইচ্ছেমতো এখানে ট্রেকিং এবং হাইকিং করা যায়।দেবদারু গাছে ঘেরা কৌসানি। কিন্তু এর মাঝেই হিমালয়ের প্যানারমিক ভিউ দেখা যায় কৌসানি থেকে। এই আকর্ষণীয় ভ্রমণ পথটি 1997 সাল পর্যন্ত আলমোড়া জেলায় অবস্থিত ছিল। তারপর 2000 সালের নভেম্বরে যখন উত্তরাখণ্ড রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে ভাগ হয়ে যায় তখন ভৌগোলিক গতিশীলতাও পরিবর্তিত হয়েছিল। এপিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত কৌসানিতে দূর দুরান্ত পর্যন্ত দেখা যায় সবুজে ঘেরা সমাহার ।
তারপর ধীরে ধীরে যখন শীতের মরসুমে শুরু হয়, ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি অবধি কৌসানি ঢাকা থাকে সাদা বরফের চাদরে। এছাড়াও আপনি কৌসানি থেকে ঘুরে আসতে পারেন রুদ্রধারী জলপ্রপাত ও গুহা, বৈজনাথ মন্দির, কৌশানি চা বাগান প্রভৃতি অঞ্চল। ভাবছেন তো কি ভাবে যাবেন? হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে আপনাকে নামতে হবে কাঠগোদাম রেল ওয়ে স্টেশনে। সেখান থেকে ট্যাক্সি বা ক্যাব করে পৌঁছে যান কৌসানি। তাই নির্জনতা খোঁজে কিংবা একাকীত্ব উপভোগ করতে চাইলে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান এই শৈল গ্রামে।