কলকাতা

দক্ষিণ কলকাতার ৩০০ ফুট রাস্তা জুরে সেজে উঠেছে অর্নামেন্টাল ডিজাইন

Street art

The Truth of Bengal: কলকাতায় স্ট্রিট আর্ট এর সৌন্দর্য। ইউনাইটেড কিংডমের বেলফাস্টের রাস্তায় যে স্ট্রিট আর্ট, তা এবার দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে। একদিকে ভাসমান  বাজার। অন‌্যদিকে মিনি দক্ষিনেশ্বর। তার সঙ্গে একের পর এক স্থাপত‌্য। সৌন্দযের নজির আগেই তৈরি করেছিল দক্ষিণ কলকাতার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের পাটুলি। এবার তাদের মুকুটে নতুন পালক ইউনাইটেড কিংডমের বেলফাস্টের স্ট্রিট আর্ট। ইংল‌্যান্ডের এই শহরে স্রেফ রঙিন বাহারি রাস্তা দেখতেই ফিরে বছর ভীড় জমান অসংখ‌্য পর্যটক। পাটুলি এলাকার কাউন্সিলর জানান রাস্তার ভিড় দেখা যাবে এবার এ শহরেও। পাটুলিতে একটুকরো ইংল‌্যান্ড ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী গুরুপদ বাছার।

২০০৪ সালে বাংলার রাজ‌্যপাল বীরেন জে শাহের পোট্রেট এঁকে যিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এতটাই জীবন্ত ছিল তা, চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল তৎকালীন রাজ‌্যপালেরও। ২০০৪ সালে রাজ‌্যপালকে নিজের হাতে সে পোট্রেট উপহার দিয়েছিলেন গুরুপদ। যেহেতু বৃষ্টির মরসুম চলছে এখনো তাতে ডিজাইন ধুয়ে যাবার আশঙ্কা করছে অনেকেই। তবে শিল্পী জানাচ্ছেন, যতই বৃষ্টি হোক। রাস্তা সাজানোর এই ‘ওয়েদার কোট’ রং উঠবে না কিছুতেই। শিল্পী গুরুপদ একসময় সিনেমার পোস্টার আঁকতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিনেমার হাতে আঁকা পোস্টার বিলুপ্ত হয়েছে। এখন সব ডিজিটাল প্রিন্ট। অন‌্য শিল্পের দিকে ঝুঁকেছেন গুরুপদ। তিনি একা নন, তাঁর ছেলে পার্থপ্রতিম বাছার গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

মেয়ে প্রতিমা বাছার ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনজন মিলেই নতুন রূপ দিয়েছেন সাধারণ রাস্তাকে। ওখানের কাউন্সিলর জানিয়েছেন, পুজোর আগে শহরে স্ট্রিট আর্ট করার ইচ্ছে ছিল। সে ইচ্ছে থেকেই ডানা মেলেছে এই ভাবনা। বারো ফুট চওড়া ৩০০ ফুট লম্বা রাস্তা সেজে উঠেছে রঙের তুলির ছোঁয়ায়। শিল্পী বলছেন, চোখ ধাঁধিয়ে যাবে এ রাস্তা দেখলে। মূলত চারটে রং ব‌্যবহার করা হয়েছে এই স্ট্রিট আর্টে। টেরাকোটা, সবুজ, কালো আর সাদা। চারটে রং মিশিয়ে তৈরি হয়েছে রাস্তাজুড়ে অর্নামেন্টাল ডিজাইন। শহরের রাস্তা মানেই কালোপিচ। দু’পাশে আলো। তার মধ্যে থেকেই ফুটে উঠবে আর্টের সৌন্দর্য।

Related Articles