
The Truth of Bengal: পদ পেলেই জারিজুরি বাড়ে, ক্ষমতা পেলেই অনেকে ভাবেন সোনায় সোহাগা।যেন কেল্লাফতে হয়ে গেছে।দেশের রাজনীতিকদের অনেকের সম্পর্কেই এই অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই পথে বাংলার প্রতিনিধিরা পা বাড়াচ্ছেন না।তার হাজারো নজির আমরা বাংলা জাগোয় তুলে ধরেছি।এবার আরও এক ব্যতিক্রমী জনপ্রতিনিধির শিক্ষনীয় ভূমিকা আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ল।ইনি পাকুমনি সোরেন..
মলানদিঘি পঞ্চায়েতের প্রধান। দুর্গার মতো দশহাত দিয়ে সবদিক সামলান।একহাতে সংসার দেখেন আর অন্যহাতে সাধারণের সেবা করার জন্য জনগণের কাজের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। পদের গরিমা আঁকড় না থেকে জনসেবাকেই তিনি পণ করেছেন।তাঁর কাছে খবর যায়,কাঁকসার আদুরিয়া সরস্বতীগঞ্জ স্কুলে জমে রয়েছে আবর্জনা।বসে না থেকে হাত লাগান তিনি। কোদাল ঝুড়ি নিয়ে নিজেই সাফাই করেন জঞ্জাল।কেন শিক্ষার মন্দিরকে পরিচ্ছন্ন রাখার এই ভাবনা ?
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখার্জি জানান বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যালয় সাফাই শুরু হয়েছে। শুক্রবার প্রধান নিজে হাত লাগানোর শিক্ষাঙ্গনে শ্রী ফিরল বলে তিনি মনে করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনেই সর্বক্ষণ সমাজসেবার কাজে মন দিতে চান আদিবাসী সমাজ থেকে উঠে আসা এই পঞ্চায়েতের প্রধান।তাঁর শিক্ষা- দরদী কাজের মাধ্যমে আসলে সমাজ উপকৃত হবে বলে মনে করছেন মলানদিঘির বাসিন্দারা।