
The Truth of Bengal: ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি হলেই দেদার জালে ধরা পড়ে ইলিশ।আর ইলিশ যত তাড়াতাড়ি বাজারে আসে তা কেনার জন্য শোরগোল পড়ে যায়।পদ্মার ইলিশের বাজারদর বেশি হলেও সুন্দরবনের ইলিশও কম যায় না।এখন সেই সুন্দরবনেই হয়ে গেল স্বাদ-বিনোদনের বিশেষ প্যাকেজ ইলিশ উত্সব।ইলিশ ভাপা,ইলিশ পাতুড়ি,ইলিশের বিরিয়ানী থেকে বিবিধ পদ তাড়িয়ে তাড়িয়ে খান উত্সবের মজাদার রসিকরা।ইলিশ নিয়ে কত লেখা আমরা পড়েছি।যুগ যুগ ধরে এই রূপোলী শস্যকে নিয়ে লেখার ছড়াছড়ি। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে কাশীর গঙ্গায় ইলিশ পাওয়ার কথা তুলে ধরেছিলেন। বেহুলা-লখিন্দরের বিয়েতে বেহুলার বাবা পাত্রপক্ষকে ১৮ পদের মাছের মধ্যে ভাজা ইলিশও দিয়ে আপ্যায়ন করেন। ভাজা ইলিশের কথা উঠলে বাঙালির রসনা রসসিক্ত হবে না, এমন বাঙালি কমই পাওয়া যাবে।এখানেই শেষ নয়, বুদ্ধদেব বসুর কিশোর কবিতা ‘নদীর স্বপ্নে’ও ইলিশ মাছের কথা এসেছে। কবি সত্যেন্দ্রনাথ লেখেন
‘ইলশে গুঁড়ি! ইলশে গুঁড়ি
ইলিশ মাছের ডিম।
ইলশে গুঁড়ি, ইলশে গুঁড়ি
দিনের বেলায় হিম ’
ইলিশ মাছের ঝোল বাঙালির কাছে অতি উপাদেয়। এই ঝোল কোনো বউ যদি ভালো করে রান্না করতে পারে, তাহলে সে-ই হয়ে ওঠে ‘সোনাবউ’।এবার রূপোলি শস্যের রসেবসে সফর আলাদা স্বাদবৈচিত্র্যে মাত্রা যোগ করল।
গত কয়েক বছর সেভাবে দেখা মেলেনি ইলিশের। ফলে এই ভরা বর্ষায় যে ইলিশ উৎসবের মজা নেওয়ার জন্য পর্যটকরা সুন্দরবনে ভিড় জমালেও কার্যত ইলিশের সেই স্বাদ থেকে বঞ্চিতই থেকেছেন সাধারণ মানুষ।
যাঁরা ইলিশ ছাড়া খাদ্যতালিকা তৈরি ভাবতেই পারেন না। তাঁরা এই একছাতার তলায় সবকিছু পেয়ে বেজায় খুশি। কেমন উপভোগ করলেন সকলে? পর্যটন ব্যবসায়ীরাও তাই ইলিশকে সামনে রেখে পর্যটকদের ভিড় বাড়ানোর ভাবনা নিয়েছেন।সুন্দরবনের সৌন্দর্যের মতোই স্বাদের বাহার দেখে সবাই যে মোটের ওপর আপ্লুত তা বলাই যায়।জাহেদ মিস্ত্রি।