
The Truth of Bengal: পর্যটক টানছে রামনগরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র তাজপুরের ‘লাইট হাউস’। পর্যটকদের কাছে এখন অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সুউচ্চ বাতিস্তম্ভ। তাজপুরে দিঘা-শৌলা মেরিন ড্রাইভ রাস্তার পাশে একটু এগিয়ে গেলে দেখা যাবে চারদিক জঙ্গলের মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে লাইট হাউস। সামান্য দূরেই সমুদ্র। পর্যটকরা তাজপুর সৈকতে বেড়াতে এসে লাইট হাউসেও ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন। লাইট হাউসের টাওয়ারের একেবারে মাথায় উঠে অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্র এবং অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশের শোভাও উপভোগ করছেন তাঁরা। পাখির চোখে এলাকা দেখার জন্য খরচ মাত্র ১০ টাকা। লাইট হাউসের ওপর থেকে প্রকৃতি এবং সমুদ্র দেখলে যেন দু’চোখ জুড়িয়ে যায়।
আর রাত্রি হলেই লাইট হাউসের চূড়োয় লাল রঙের বাতি বা আলো জ্বলে ওঠে। সেই আলোই দূর সমুদ্রে জাহাজের নাবিকদের দিক নির্দেশ করে। রাতে লাল আলো জ্বললে লাইট হাউসের শোভা আরও বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ২০২০ সালে সরকারি জায়গায় লাইট হাউসটি তৈরির কাজ শুরু হয়। এর আগে লাইট হাউস তৈরির পাশাপাশি কর্মীদের আবাসন, অফিসঘর প্রভৃতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে লাইট হাউস প্রাঙ্গণে পার্ক সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। কয়েক দশক আগে কাঁথির দারিয়াপুর এলাকায়ও রসুলপুর নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনার কাছে এরকম একটি লাইট হাউস গড়ে তোলা হয়েছিল। তাজপুরে বিশ্ববাংলা পার্ক ছাড়া সেই অর্থে দ্রষ্টব্য স্থান নেই। সেখানে লাইট হাউসটি এখন পর্যটক সহ সকলের কাছে যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুধু লাইট হাউস দেখা নয়, আগত পর্যটকরা যাতে এখানে এসে দু’দণ্ড সময় কাটাতে এবং ঘুরে বেড়াতে পারেন, তার জন্যও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। লাইট হাউস প্রাঙ্গণে সুসজ্জিত পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে সাজানো বাগান, ছোটদের জন্য দোলনা থেকে শুরু করে বসার আসন-সবকিছুই রয়েছে। পর্যটক, ভ্রমণপ্রিয় মানুষজন সহ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এখানে এসে লাইট হাউস দেখা এবং আরোহণের পাশাপাশি তাঁদের জানার পরিধিকে আরও সমৃদ্ধ করছেন। এখন ছোটদের কাছেও বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই লাইট হাউস। এই লাইট হাউসের দৌলতে এলাকার সৌন্দর্য বাড়ায় এখন দিঘার পাশাপাশি তাজপুরের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে। পাখির চোখে গোটা এলাকা দেখার জন্য অচিরেই তাজপুর পর্যটন মানচিত্রে আরও বড় জায়গা করে নেবে বলে আশাবাদী এলাকার লোকজন।