
The Truth of Bengal: শিক্ষাদফতরের সঙ্গে সংঘাত ছিলই, মাঝে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। সেই রেশ এখনও চলছে, সেই তর্জার মাঝে ফের নতুন সংঘাত শুরু হল। ১৫ অগস্ট বন্দিমুক্তির তালিকা তৈরি করেছিল নবান্ন। সেই তালিকা পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। কিন্তু তা ফের ফেরত পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। ১৫ অগস্টের জন্য পাঠানো তালিকা ত্রুটিমুক্ত নয় বলে মনে করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাই তালিকার ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, কীসের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। প্রায় প্রতি বছরই, স্বাধীনতা দিবস ও সাধারণতন্ত্র দিবসে বন্দিমুক্তির একটি তালিকা তৈরি করে রাজ্যসরকার। রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে ওই নামের তালিকা তৈরি হয়। সাধারণত ১৫ অগস্ট এবং ২৬ জানুয়ারি জেলে থাকা দীর্ঘদিনের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের আচার আচরণ দেখে মুক্তির জন্য এই তালিকা তৈরি হয়ে থাকে। তালিকা প্রস্তুতে ভূমিকা থাকে, কারা দফতর, স্বরাষ্ট্রদফতর, আইন, বিচার দফতরের। মোট চারটি দফতর মিলে সব খতিয়ে দেখে এই তালিকা প্রস্তুত করে থাকে। এরপরে সেটি পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। একই প্রথা মেনে এবারও সেই তালিকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু রাজভবন জানতে চেয়েছে, কীসের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি হয়েছে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ, বারবার রাজ্যপাল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। পাশাপাশি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নিরপেক্ষতা নিয়ে বেশ কয়েকদফা প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের একাংশ নেতা। ভোটের সময় রাজভবনে পিস রুম খুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি রাজভবনে খুলে পেলেছেন অ্যান্টি কোরাপশন সেল। তা নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। এবার বন্দিমুক্তি তালিকা নিয়ে যে ব্যাখ্যা চেয়েছেন রাজ্যপাল, তাতে নতুন করে সংঘাতের বার্তা উঠে এলো।