Tiger Footprints: পাথরপ্রতিমা থেকে কুলতলি, ৩ দিনে ৩ জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ!
গত তিন দিনে পর পর তিনটি জায়গায় কুলতলির মইপিঠ, পাথরপ্রতিমার অচিন্ত্যনগর ও এবার উপেন্দ্রনগর বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে।
লোকেশ হালদার, পাথরপ্রতিমা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকে ফের বাঘের আতঙ্ক। মঙ্গলবারের পর বুধবারও উপেন্দ্রনগর এলাকায় সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঘের উপস্থিতির সম্ভাবনা ঘিরে। সিদরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপেন্দ্রনগর সহ লাগোয়া অঞ্চলে বাঘের পায়ের ছাপ মিলতেই তড়িঘড়ি তৎপর হয় বনদফতর। গত তিন দিনে পর পর তিনটি জায়গায় কুলতলির মইপিঠ, পাথরপ্রতিমার অচিন্ত্যনগর ও এবার উপেন্দ্রনগর বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে। তিনটি ক্ষেত্রেই বনদফতর কোনও বাঘকে চোখে না দেখলেও পায়ের ছাপের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ফলে একটাই প্রশ্ন ঘুরছে—এটি কি একই বাঘ, নাকি তিন জায়গায় তিনটি ভিন্ন বাঘ? পায়ের চিহ্ন মিলিয়ে সেই বিশ্লেষণ শুরু করেছে বনদপ্তর। বিশেষ করে তিন এলাকার মাঝেই রয়েছে বিশাল নদী। তাই যদি একই বাঘ হয়, তবে কি প্রতিদিন নদী পেরিয়ে নতুন জায়গায় ঢুকছে—সেই প্রশ্নও উঠছে স্থানীয়দের মধ্যে।
বনকর্মীরা ইতিমধ্যে উপেন্দ্রনগর ও জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলোতে জাল দিয়ে ঘেরা শুরু করেছে। ঠাকুরান জঙ্গলে ছাগল টোপ দিয়ে লোহার খাঁচা পাতা হয়েছে বাঘ ধরার উদ্দেশ্যে। তবুও গত চারদিন ধরে টোপে না পা দেওয়ায় আরও আতঙ্ক বেড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলোয় ফেন্সিং টানার কাজও চলছে। বনদপ্তর কর্মীরা টহলদারি চালাচ্ছেন, যাতে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে।উপেন্দ্রনগরের বড় অংশের বাসিন্দা মাছ–কাঁকড়া ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন। আবার এই অঞ্চলে বিশাল ধানের জমি রয়েছে, ফসল কাটার সময়ও এসে গেছে। কিন্তু বাঘের ভয়ে জঙ্গল লাগোয়া জমিতে কেউই যেতে পারছেন না। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর তো একেবারেই বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ।স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দিনের বেলা আশপাশে অনেক মানুষ না থাকলে বাড়ির বাইরে বেরোনোই অসম্ভব হয়ে উঠছে। শিশু ও বয়স্কদের নিয়েও চিন্তায় পরিবারগুলি।সুন্দরবনে বাঘের দেখা মিললেও এই ধরনের একটানা চারদিন ধরে লোকালয় ঘেঁষে পায়ের ছাপ পাওয়া বিরল ঘটনা। বাঘ ধরা না পড়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে।






