কে হবে ‘শান্তির দূত’? রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর দৌড়ে আমেরিকা-চিন
Who will be the 'messenger of peace'? The race to stop the Russia-Ukraine war between America and China.

Truth of Bengal: বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবার মুখোমুখি দুই পরাশক্তি—আমেরিকা ও চিন। এতদিন রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগে এককভাবে মাঠে গোল দিচ্ছিল আমেরিকা। এবার সেই প্রতিযোগিতায় নামল চিনও। শুরু হল কৃতিত্ব দখলের এক অনন্য দৌড়।
সম্প্রতি আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশাল মিডিয়ায় দাবি করেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টা ফোনে কথা বলেছেন। এই আলোচনার পর মস্কো ও কিয়েভ যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। এই ঘোষণার পরেই সক্রিয় হয় চিন।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও উইং বলেন, “চিন সবসময় শান্তির চেষ্টা সমর্থন করে। আমরা আশা করি দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগিয়ে যাবে।” যদিও এ এক কূটনৈতিক বক্তব্য, তবু পরিষ্কার—চিনও ‘শান্তির দূত’ হিসেবে নিজের ভূমিকা তুলে ধরতে চায়।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের এই বার্তা স্পষ্ট করে দেয় তারা চায় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কৃতিত্ব তারাই পাক। ২০২৩ সালেই চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং পুতিনের সঙ্গে দেখা করে শান্তির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এমনকি চিন যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতারও চেষ্টা করেছিল। তবে এখন ট্রাম্প একাই কৃতিত্ব নিতে চাইছেন দেখে চিন ফের সরব হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্প সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, “পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির দিকে এগোচ্ছে। দুই দেশ নিজেরাই শর্ত ঠিক করবে।” পাশাপাশি ট্রাম্প আরও বলেন, “যুদ্ধ শেষে আমেরিকা চায় রাশিয়ার সঙ্গে বড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে। এতে রাশিয়ার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।”
পুতিনও ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, “আমরা সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির জন্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। ভবিষ্যতে ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করতেও আমরা আগ্রহী। তবে শান্তি প্রক্রিয়ার শর্ত রাশিয়া ঠিক করবে।”
পুতিন আরও বলেন, “রাশিয়া চায় শান্তি। সংঘর্ষের মূল কারণ চিহ্নিত করে তার সমাধানের দিকেই এগোতে হবে।”
এই অবস্থায় বিশ্ব এখন তাকিয়ে, কে আগে সফল হবে—ট্রাম্পের আমেরিকা, না কি কৌশলী চিন? শান্তির দূত হয়ে শেষ হাসি কে হাসবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।