বদলাচ্ছে পরিচয়, সৈকতের গোয়া হাঁটছে আধ্যাত্মিকতার পথে! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Identity is changing, beach-dwelling Goa is walking the path of spirituality! Chief Minister's announcement

Truth Of Bengal: গোয়া মানেই কি শুধু সূর্যস্নান, বালির সৈকত আর সমুদ্রের গর্জন? এতদিন তাই ভাবা হতো। কিন্তু গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত এবার সেই পরিচয় বদলাতে চাইছেন। তাঁর লক্ষ্য, গোয়াকে গড়ে তোলা এক আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে।
শনিবার ‘সনাতন রাষ্ট্র শঙ্খনাদ মহোৎসব’-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে লোকে গোয়া আসত রোদ, বালি আর সমুদ্রের টানে। এখন তারা আসবে মন্দির দর্শন ও আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার জন্য।” তিনি জানান, রাজ্যের বহু মন্দির এতদিন প্রশাসনের আওতার বাইরে ছিল। এবার সেগুলোর দেখভালে সরকার সক্রিয় ভূমিকা নেবে।
প্রমোদ সাওয়ান্ত আরও বলেন, “গোয়া ভোগভূমি নয়, এটি এখন যোগভূমি ও গোমাতাভূমি। মানুষ এখন আত্মিক শান্তি ও ভক্তির খোঁজে এখানে আসছেন।” তিনি গোয়ার পৌরাণিক ইতিহাসের কথাও মনে করিয়ে দেন—”এটি ভগবান পরশুরামের পবিত্র ভূমি, যিনি আরবসাগরে তির নিক্ষেপ করে এই জায়গার সৃষ্টি করেছিলেন।”
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে গোয়ায় পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে ১০.৫ শতাংশ। গত বছর এই সময় যেখানে ২৫.৮০ লাখ পর্যটক এসেছিলেন, এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৫০ লাখে। বিদেশি পর্যটক কিছুটা কমলেও দেশীয় পর্যটকদের আগমনে স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে গোয়া এখন শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, হয়ে উঠছে এক নতুন আধ্যাত্মিক গন্তব্য। রাজ্য প্রশাসনও সেই দিকেই এগোতে চাইছে সচেতনভাবে।