চরম গরমে জলহীন সোমড়া! পুকুরের জলই ভরসা গ্রামবাসীদের
Waterless Somara in extreme heat! Villagers rely on pond water

Truth Of Bengal:রাকেশ চক্রবর্তী, হুগলি: চাঁদি ফাটা গরমে যখন জলের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, তখন হুগলির বলাগড় ব্লকের সোমড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু পরিবার পড়েছেন চরম জলকষ্টে। মশড়া গ্রাম সংসদে প্রায় পাঁচশো পরিবারের বাস হলেও পর্যাপ্ত টিউবওয়েল নেই, আর সরকারি পাইপলাইনে জলের সরবরাহও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে স্থানীয় পুকুরের জলই এখন ব্যবহার করছেন গ্রামবাসীরা।
২০২৩ সালে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (পিএইচই) -এর উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও, মাত্র এক মাস চলার পর থেকেই সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত সদস্য মহামায়া পণ্ডিত জানিয়েছেন, “কিছু জায়গায় পাইপলাইন কেটে গিয়েছে। আবার কিছু এলাকায় টুলু পাম্প বসিয়ে জল তোলা হচ্ছে, ফলে বাকি জায়গায় জলের চাপ পড়ে যাচ্ছে।”
এই পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিপিআই(এম) হুগলি জেলা কমিটির সদস্য অতনু ঘোষ। তিনি বলেন, “এই ভয়াবহ গরমে মানুষ জল কষ্টে ভুগছেন। পঞ্চায়েত, সমিতি, জেলা পরিষদ — কেউই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। শাসক দল শুধু দুর্নীতিতেই ব্যস্ত।”
এই বিষয়ে হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা বলেন, “সোমড়া এলাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কেন জল যাচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই প্রকল্প চালু করেছেন, কাজেই জলের অপচয় বা সরবরাহ বন্ধ থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এই খবর সংবাদমাধ্যমে আসার পর, জেলা পরিষদের নির্দেশে পঞ্চায়েতের তরফে এলাকাগুলিতে অস্থায়ী পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, পিএইচই-র আধিকারিকদের বলা হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে সমীক্ষা করে দেখা হোক কোন কোন পরিবার জল পাচ্ছেন না। গ্রামবাসীদের এখন একটাই প্রশ্ন — কবে মিলবে জলের স্থায়ী সমাধান?