বিজেপির যুব মোর্চা সদস্যের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ! পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত
Mobile food laboratory for the first time in Purulia! New horizons in food safety

Truth Of Bengal:সৌভিক গোস্বামী, আরামবাগ: খানাকুলে এক নাবালিকা অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে গ্রফতার হয়েছেন বিজেপির যুব মোর্চার এক সক্রিয় সদস্য শুভজিৎ মাকাল। তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল থানার অন্তর্গত রাজহাটি এলাকার ওই বিজেপি কর্মী এলাকারই এক নাবালিকাকে জোর করে অপহরণ করেন। ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। শুভজিৎ মাকালের মাসির বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয় এবং সেখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতকে শনিবার আরামবাগ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, আদালতে নাবালিকার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল চাপানউতোর। বিজেপি-র অভিযোগ, শুভজিৎ মাকাল এলাকায় সক্রিয়ভাবে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন ও জনসংযোগ বাড়াচ্ছিলেন, যার ফলে তাঁকে তৃণমূলের মদতে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। শাসক দলের দাবি, এটাই বিজেপির প্রকৃত চরিত্র, যেখানে নারী ও নাবালিকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় তাদের দলের লোকজনের হাতেই। শুধু শুভজিৎ নন, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অন্য কেউ থাকলে, তাদেরও কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক তরজা যতই চলুক, প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের দাবি একটাই — নাবালিকার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় দোষীদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খানাকুলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।