খেলা

দেশের জার্সিতে নয়, অলিম্পিকে ব্রুকদের দেখা যেতে পারে অন্য জার্সিতে

Brooks may be seen in a different jersey at the Olympics, not in the national jersey

Truth Of Bengal: একটা বা দুটো বছর নয়, দীর্ঘ ১২৮ বছর পর আবার অলিম্পিকের আসরে অন্তর্ভূক্তি হতে চলেছে ক্রিকেটের। আগামী ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকেই ক্রিকেটকে দেখা যাবে। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে এই ক্রিকেট ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে। পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ছটি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতাতেই দেশের জার্সি গায়ে হ্যারি ব্রুক, বাটলার কিংবা বেন স্টোকসরা দেশের জার্সিতে খেলতে পারবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।

এই অলিম্পিক গেমসের আসরে ইংল্যান্ড যেহেতু আলাদা দেশ হিসাবে খেলে না। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং নর্দান আয়ারল্যান্ড একত্রে মিলে গ্রেট ব্রিটেন নামে অংশগ্রহণ করে। তাই স্কটল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে দল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের।

অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটে কোনও নতুনত্ব নেই, এমনকি তাদের দলগত শক্তির বিচারেও তারা অলিম্পিকের মত আসরে ছাড়পত্র পাওয়াও তাদের পক্ষে মুশকিল। সেই কারণেই স্কটিশ ক্রিকেট কর্তারা ইংল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে দল গড়ার পরিকল্পনা করেছেন। এবং এটা যদি সম্ভব হয়, তাহলে স্কটিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অলিম্পিক্সের আসরে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাবেন বলেও মনে করেছন তাঁরা।

এই প্রসঙ্গে স্কটিশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও টুডি লিল্ডব্রেড জানান, ‘ ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। ২০২৮ সালের অলিম্পক গেমসে ইংল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে দল গঠনের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। কেননা যৌথভাবে দল গঠন করতে হলে ব্রিটিশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্মতি দরকার। যদি এটা সম্ভব হয় তাহলে খুবই মজার বিষয় হবে।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে আইসিসি-র ক্রমতালিকায় স্কলটল্যান্ডের যা অবস্থান তাতে তাদের অলিম্পক গেমসের মতো মেগা ইভেন্টে অংশগ্রহণের যোগ্যতা পাওয়া এক কথায় দুষ্কর। সেক্ষেত্রে দুই বিভাগেই অংশগ্রহণের যোগ্যতা পেতে ইংল্যান্ড। কেননা পুরুষদের টি-টোয়েন্টি তালিকায় ইংল্যান্ড রয়েছে দ্বিতীয় ও মহিলাদের ক্ষেত্রে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এই তালিকায় দুই বিভাগেই প্রথম দশে নেই স্কটিশরা।

উল্লেখ্য, অলিম্পক গেমসে পুরুষদের ফুটবল ছাড়া সব বিভাগেই গ্রেট ব্রিটেন হিসাবেই অংশগ্রহণ করে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ড। তবে ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পক গেমসে এই তিন দেশ যৌথভাবেই গ্রেট ব্রিটেন নামে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই কারণেই স্কটিশ কর্তারা আশাবাদী যে এই বিষয় নিয়ে হয়ত সমস্যার সমাধানা হলেও হতে পারে।

Related Articles