খেলা

নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলেই ফাইনাল জয় নিশ্চিত বাগানের

Bagan is sure to win the final if they can play their game.

Truth Of Bengal: শিল্টন পাল, প্রাক্তন মোহনবাগান গোলরক্ষক: মোহনবাগান আর শিল্টনের নামটা অঙ্গাঙ্গীকভাবে জড়িয়ে রয়েছে এখনও। একদা মোহনবাগানের শেষ প্রহরীর শিরায়, রক্তে, ধমনীতে রয়ে গিয়েছে মোহনবাগান। কিছুতেই মোহনবাগানকে ভুলতে পারেন না তিনি। আইএসএল-এ আগামী শনিবার ফাইনাল ম্যাচে যুবভারতীতে মাঠে নামবে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি। আমার কাছে এই ম্যাচে সব সময়ই ফেভারিট আমার প্রিয় দল মোহনবাগান।

যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন, এর কারণটা কি? তাহলে বলতেই হয়, চলতি আইএসএল-এ মোলিনার দল দুরন্ত ছন্দে ফুটবল খেলেছে। দলটা সব বিভাগে একটা ছন্দ বজায় রেখেছে প্রতিটা ম্যাচে। তার ফলেই মোহনবাগানের কাছে ম্যাচ জেতাটা কোনও ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে না।

পাশাপাশি দলটার এত সুন্দর একটা বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে যে, কে কোথায় কাকে বল দেবেন, কে আক্রমণে উঠে এসে মাইনাসটা কোথায় করবেন, সেটা দলের বাকিরা সবাই বুঝতে পারছেন। ফলে গোল গোলও পেয়ে যাচ্ছেন বাগান ফুটবলাররা।

এছাড়া মোহনবাগানের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হল দলের প্রথম একাদশ যেমন শক্তিশালী, তেমনি শক্তিশালী হচ্ছে রিজার্ভ বেঞ্চ। হাতে অনেক পরিবর্তিত ফুটবলার থাকায় মোলিনার দলের ফুটবলারদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও দারুণ হচ্ছে। এটাই মোহনবাগানের কাছে একটি বাড়তি অ্যাডভান্টেজ।

আমি মোহনবাগানের এই দলের মধ্যে অনেকেই দুরন্ত খেলছেন, এটা অস্বীকার করার কোনও কারণ নেই। তবে কেন জানি না শুভাশিসের এবারের পারফরম্যান্স দেখে আমি সত্যিই খুব খুশি। যেমন রক্ষণভাগে নির্ভরতা দিচ্ছেন, ঠিক তেমনই গোলও করছেন। এটাই তো দলের প্রতি ভালবাসা কিংবা দায়বদ্ধতা। যা দেখে আমি খুবই খুশি।

মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ যে দল, তারাও কিন্তু যথেষ্ট হেভিওয়েট। যে দলে সুনীলের মত ফুটবলাররা রয়েছেন. আরও অনেক অভিজ্ঞ ফুটবলারও আছেন। তবুও বলছি অতিরিক্ত ভাবার কোনও কারণ নেই। ম্যাচের আগে অহেতুক টেনসনও যাতে না করেন শুভাসিসরা। যাঁরা দলে সুযোগ পাবেন, তাঁরা যেন প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দিয়ে দিক, তাহলেই ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ম্যাচ জিততে কোনও অসুবিধা হবে মোলিনার দলের।

Related Articles