বালুশিল্পীর অসামান্য শিল্পকলা, ফিরে এল হাজার বছরের ইতিহাস
The outstanding art of the sand artist, a thousand years of history returned

Truth Of Bengal: ধুধু বালির মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন এক অসামান্য শিল্পকর্ম। কল্পনা ধরা দিয়েছে হাতের জাদুতে। ফুটে উঠেছে হাজার বছরের ইতিহাস। আবার জলস্রোতে তা ভেসেও গিয়েছে। তবুও নিরন্তর গবেষণা চলছেই। পূর্ব বর্ধমানের বালুশিল্পী রঙ্গজিব রায়ের এই নিয়েই চলছে নিরলস প্রয়াস।
বালুশিল্পীর অসামান্য শিল্পকলা, ফিরে এল হাজার বছরের ইতিহাস pic.twitter.com/T5COqs23jP
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) April 10, 2025
বালুশিল্পী রঙ্গজীব রায়ের অনন্য সৃষ্টি বালির ভাস্কর্য। হাজার হাজার বছর আগে যে সমস্ত প্রাচীন মন্দির, পাহাড়, পর্বত বা সমুদ্রের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে নানান প্রাসাদ, মনোরম দুর্গ, স্থাপত্য ভাস্কর্য সেগুলোকে তিনি বারবার ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন তার নিপুন হাতের কারুকার্যে। নদীর চরে তিনি মনের আনন্দে গড়ে তোলেন পৃথিবীর নানান প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত স্থাপত্যের অনুকরণে।
ইতিহাসের হরপ্পা মহেঞ্জোদারো সভ্যতার নিদর্শন ফুটে ওঠে তার হাতের জাদুতে। অপূর্ব শৈলিল্পিক মুন্সিয়ানায় এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে নির্বিঘ্নে মিশে গেছে তার সৃষ্টি। দামোদর নদের তীরে বালির চড়ে যে বালু-শিল্প দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
গৈতানপুর চরমানা এলাকার বাসিন্দা রঙ্গজীববাবু অবসর সময়ে সৃষ্টিতে মেতে ওঠেন। বালু-শিল্পকে বাংলার বুকে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শিল্পী রঙ্গজীব রায়। তিনি পেশায় অধ্যাপক। গত পাঁচ ছ বছর ধরে এই বালু-শিল্প বা স্ট্যান্ড আর্ট নিয়ে করে চলেছেন নিরন্তন গবেষণা। চরমানা এলাকায় দামোদর নদের বালির চড়ই এখন তাঁর সৃষ্টির খেলাঘর।