
Truth Of Bengal: জমির বদলে রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মামলাতে নতুন করে চাপে পড়লেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যায়, ২০০৪-২০০৯ সালের মধ্যে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। তখনই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি মেধার উপর ভিত্তি না করে কেবলমাত্র জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। মঙ্গলবারই এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সমন পাঠায় ইডি। সেই সমন পাওয়ার পরই লালুপ্রসাদ যাদব বুধবার হাজির হন পাটনার ইডির দফতরে। তাঁর সঙ্গে তাঁর মেয়ে মিসা ভারতীও ছিলেন সেখানে।
জানা যায়, মঙ্গলবারই এক টানা দীর্ঘসময় ধরে ইডি আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়েছিলেন লালুপ্রসাদের স্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তাঁর ছেলে তথা বিহারের উপমূখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।এক টানা চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয় তাদের।
ইডি দফতর থেকে বেরোনোর পর তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই তদন্ত। এদিন তেজস্বী যাদবের কথায় উঠে আসে, “দিল্লি নির্বাচলেন পর আমি বলেছিলাম ইডির এবারের টার্গেট বিহার। আমরা আইন মেনে চলি তাই তদন্তকারী সংস্থার ডাক এসে পৌঁছলে হাজির হই।”
একইসঙ্গে তিনি জানান, তিনি রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ তাই এহেন মামলা হচ্ছে, রাজনীতি না করলে এভাবে হেনস্থার শিকার হতে হতো না তাঁকে। তেজস্বী যাদবের এই মন্তব্যের পরই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে যে, তাহলে কি এবার জেরার মুখে পড়তে পারেন লালু প্রসাদ যাদবও? সেই জল্পনা কেটে যায় বুধবার দুপুরের কিছু সময় আগেই। নিজেই ইডি দফতরে উপস্থিত হন লালুপ্রসাদ যাদব। ইতিমধ্যেই লালুপ্রসাদ সহ মোট ১২ জনের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি।