দেশ

৯০ দিনে ২৫ টি শিকার, লাখ টাকা খরচের পর ধরা পড়ল বাঘ

Tiger caught after 25 hunts in 90 days, spending lakhs of taka

Truth Of Bengal: অবশেষে স্বস্তি। ঘুম উড়েছিল রেহমানখেদা, মালিহাবাদ এবং এর আশেপাশের এলাকাবাসীর। আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছিল বন থেকে বেরিয়ে আসা এক শার্দূল। বন বিভাগ ৯০ দিন পর বাঘটিকে ধরতে সফল হয়েছে। এই উদ্ধার অভিযানে বিভাগের ১০০ জনেরও বেশি আধিকারিক ও কর্মচারী জড়িত ছিলেন। বাঘ ধরার অভিযানে খরচ হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

গত তিন মাসে, বাঘটি ২৫টিরও বেশি গবাদি পশু শিকার করেছে। বাঘটি ধরা পড়ার পর এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। বুধবার বন বিভাগ ৯০ দিন পর লখনউয়ের রেহমান খেদায় ঘুরে বেড়ানো বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করেছে।

বন বিভাগের ১০০ জনেরও বেশি আধিকারিক ও কর্মচারী ৯০ দিন ধরে বাঘটিকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তাঁরা সফল হচ্ছিলেন না। শেষে বেঙ্গালুরুর একজন ডাক্তারের সহায়তায়, বাঘটিকে ধরার ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই বাঘের আতঙ্কে গত তিন মাস ধরে রেহমানখেদা, মালিহাবাদ এবং এর আশেপাশের এলাকার গ্রামবাসী আতঙ্কে ছিলেন। বাঘটি ২৫টিরও বেশি গবাদি পশু শিকার করেছিল। বাঘের আতঙ্কে শিশুরা স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে ঘরে ঢুকে যেত মানুষ।

বুধবার সন্ধ্যায়, বন বিভাগ বাঘটিকে শান্ত করে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ৯০ দিনের কঠোর পরিশ্রমের পর বন দফতর সাফল্য অর্জন করেছে। খাঁচা, ক্যামেরা, ফাঁদ এবং ড্রোন ব্যবহার করে তার উপর নজর রাখা হচ্ছিল। বিশেষজ্ঞদের একটি দলকেও ডাকা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বন বিভাগ শীঘ্রই বাঘটিকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করবে।

বুধবার সকালে বাঘটি গ্রামে একটি গরু শিকার করেছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বন বিভাগ বাঘের খবর পায়। বাঘটির ছবি সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয়। এর পর বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু ট্রাঙ্কুইলাইজার বন্দুকের প্রথম গুলি বাঘের গায়ে লাগলেও, সে অজ্ঞান হয়ে পড়েনি এবং দৌড়াতে শুরু করে। এরপর আবার ট্রাঙ্কুইলাইজার বন্দুক থেকে গুলি চালানো হয়, তখনই বাঘটি অজ্ঞান হয়ে যায়।

Related Articles