দেশ

গুণগত পরীক্ষায় ফেল সাধারণ জ্বর থেকে অ্যালার্জির মতো জীবনদায়ী ওষুধ

Life-saving drugs from common fever to allergies fail quality tests

Truth Of Bengal: জীবন বাঁচানোর জন্য যে ওষুধ আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি, তার মধ্যেই যদি লুকিয়ে থাকে বিপদ? কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিএসসিও (CDSCO)-র সাম্প্রতিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চমকে উঠেছেন বিশেষজ্ঞরা। জানানো হয়েছে, ১৪৫টি ওষুধের ব্যাচ প্রত্যাশিত গুণমানের নয়। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ জ্বর থেকে শুরু করে সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বহু জনপ্রিয় ওষুধ।

কোন কোন ওষুধ পরীক্ষায় ফেল?

সিডিএসসিও জানিয়েছে, প্যারাসিটামল ৬৫০, অ্যামোক্সিসিলিন, সেট্রিজিন, নরফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্ডেম, প্যান্টোপ্রাজল গ্রুপের একাধিক ওষুধ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ১৬টি ব্যাচ জীবাণুমুক্ত নয় বলে কর্নাটক স্টেট ল্যাবের পরীক্ষায় ধরা পড়েছে।

সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ?

বিশেষজ্ঞদের মতে, গুণমানহীন ওষুধ যদি বাজারে ছড়িয়ে পড়ে, তবে রোগীদের শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। দীর্ঘদিন এই ধরনের নিম্নমানের ওষুধ গ্রহণ করলে সংক্রমণ ভালো না হয়ে আরও জটিল হতে পারে। এছাড়া, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের (Antibiotic Resistance) ঝুঁকিও বাড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও ভয়ঙ্কর সমস্যা তৈরি করতে পারে।

আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা

এটি প্রথমবার নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও সিডিএসসিও-র পরীক্ষায় ৫৩টি ওষুধ ব্যর্থ হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল ক্ল্যাভাম ৬২৫-এর মতো অ্যান্টিবায়োটিক, প্যান-ডি-এর মতো হজমের ওষুধ এবং ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ। এবার আরও বেশি সংখ্যক ওষুধের ব্যাচ পরীক্ষায় ফেল করায় চিন্তা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার?

ওষুধের গুণগত মান বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কিনবেন না এবং প্রয়োজনে ভেজাল ওষুধ নিয়ে সন্দেহ হলে কর্তৃপক্ষকে জানান।

সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে গোটা দেশকে।

Related Articles