খেলা

মোহনবাগানের খেতাব জয়ের অপেক্ষায় দিন গুণছেন আরপি সিং-ও

RP Singh is also counting the days waiting for Mohun Bagan to win the title.

Truth of Bengal: সুদীপ্ত ভট্টাচার্য: রবিবার আইএসএল-র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মোহনবাগানের সামনে। প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। এই ম্যাচ জিতলেই পারলেও বহু কাঙ্খিত লিগ-শিল্ড ট্রফি দ্বিতীয়বারের জন্য ঘরে তুলে নেবে গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটি। মোহনবাগানের চলতি আইএসএল-এ দূরন্ত পারফরম্যান্স দেখে দারুণ খুশি ও উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন সবুজ-মেরুন ফুটবলার রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং। অর্থাৎ মোহনবাগান জনতার আদরের আরপি সিং।

ফোনে যখন আরপি-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হল, তখন প্রাক্তন মিডিও বড়ই ব্যস্ত ছিলেন। তবুও ফোন পেতেই সব ব্যস্ততাকে দূরে সরিয়ে আরপি বলতে লাগলেন, তাঁর প্রিয় ক্লাবের সাফল্যে তিনি কতটা খুশি করেছে।

প্রশ্ন করার আগেই বাগানের এই প্রাক্তনী জানান, ‘মোহনবাগান আমার রক্তে রয়েছে। মোহনবাগানের নাম শুনলে এখনও যেন নিজের চোখের সামনে ভেসে ওঠে আমাদের খেলার সময়গুলি। আর সময় পেলে এখনও মোহনবাগানের ম্যাচ দেখতে থাকি। সত্যিই মোহনবাগানকে কখনও ভোলা যাবে না।’

চলতি আইএসএল-এ দূরন্ত মোহনবাগানকে দেখে আরপি জানান, ‘আমাদের সময়েও মোহনবাগান পর পর তিন বছর ন্যাশানাল লিগের খেতাব জয় করেছিল। সেই সময়ও আমরা দূরন্ত ছন্দে ছিলাম। কোনও কঠিন প্রতিপক্ষই আমাদের কাছে প্রতিপক্ষ মনে হয়নি। আমরা দলগত পারফরম্যান্স করেছি। আর তাতেই সাফল্য মিলেছিল। বর্তমান দলটাও ঠিক একইভাবে সাফল্য পাচ্ছে। কাকে ছেড়ে কার কথা বলব। সত্যিই এই মোহনবাগানকে দেখে আমি দারুণ আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার হিসাবে আমি চাইব রবিবারের ম্যাচে আমার প্রাক্তন ক্লাব যাতে সাফল্য অর্জন করতে পারে।’

পাশাপাশি নয়ের দশকে বাগানের অন্যতম প্রাণ ভোমরার আরও সংযোজন, ‘আসলে ওড়িশা আমার নিজের রাজ্য। এখান থেকেই ফুটবলার হিসাবে আমার পরিচয়। সেই কারণে নিজের রাজ্যের দলের প্রতিও রইল ভাল খেলার শুভেচ্ছা।’

এরপর কিছুটা ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে গিয়ে মোহনবাগানে থাকাকালীন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের সেই ভালবাসার কথা তুলে ধরেন আরপি। বলেন, ‘মোহনবাগান ক্লাবের মত, সমর্থকরা এখনও আমার হৃদয়ে রয়েছেন। তাঁদের ডাকা আরপি আরপি গগণভেদী চিৎকার আমি ভুলব না কোনওদিন। আসলে ওঁরাই তো আমাদের ভাল খেলার ইউএসপি ছিলেন। ফুটবলার হিসাবে এটা আমার কাছে বিরাট পাওনা। যা আজীবন থেকে যাবে আমার হৃদয়ে। মোহনবাগানের মত ভারতসেরা ক্লাবে ভাল খেলার জন্য আমি সবসময়ই ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। কেননা তাঁর আশীর্বাদ ছাড়া এটা সম্ভব হত না।’

Related Articles