
Truth Of Bengal: বিহারের পাটনা থেকে ভক্তদের নিয়ে প্রয়াগরাজ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বাস। জানা গিয়েছে, বাসটি রাত আড়াইটে নাগাদ সাহজানওয়াতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের সিহাপার সিএইচসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে, আহতরা সবাই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সাহজানওয়ানের কাছে বাসটি পেছন থেকে এসে গাড়িকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ওই গাড়িটিও উল্টে যায়।
পাশাপাশি এদিন উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি থেকে প্রয়াগরাজগামী কুম্ভমেলা স্পেশ্যাল ট্রেনে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল একদল যাত্রীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূণ্যার্থীদের নিয়ে স্পেশ্যাল ট্রেনটি ঝাঁসি থেক প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। হরলপুর স্টেশনে পৌঁছতেই ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে একের পর এক পাথর উ়ড়ে আসে। পাথরের আঘাতে বেশ কয়েকটি কামরার জানলার কাচ এবং দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রেলপুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। ট্রেনটি ধরার জন্য হরলপুর স্টেশনে প্রচুর পুণ্যার্থী অপেক্ষা করছিলেন। ঝাঁসি থেকে দু’ঘণ্টা সময় লাগে এই স্টেশনে পৌঁছতে। ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর অপেক্ষারত যাত্রীরা উঠতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনের সব ক’টি কামরার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর ট্রেনে উঠতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তাঁরা। অভিযোগ, বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা তার পরই ট্রেনে ইট, পাথর এবং লাঠি নিয়ে হামলা চালান। এই ঘটনায় ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মহিলা এবং শিশুরা ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন।
হরলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পুষ্পক শর্মা জানিয়েছেন, রাত ২টো নাগাদ কম্ভ স্পেশাল ট্রেনটি হরলপুরে পৌঁছতেই হামলার ঘটনা ঘটে। রেলের মুখপাত্র মনোজ সিংহ জানিয়েছেন, প্রয়াগরাজে যাওয়ার জন্য হরলপুরে অনেক পুণ্যার্থী অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেনের দরজা বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পুণ্যার্থীরা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।