“নিজেকে কেউকেটা ভাবলে দলের দরজা তাঁর জন্য বন্ধ”, গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে কি বললেন অভিষেক?
"If someone thinks of themselves as someone else, the party's doors are closed to them", what did Abhishek say about the factional conflict?

Truth Of Bengal: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় বুধবার ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি মেনে নিলেন, দলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল আছে। তবে তাঁর যুক্তি, দল বড় হলে এমন ঘটনা স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘‘দলের ঊর্ধ্বে কেউ নন। কেউ যদি নিজেকে কেউকেটা ভাবেন, তাঁর বিরুদ্ধে দলও ব্যবস্থা নিতে দেরি করবে না।’’
মালদহ-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে কড়া বার্তা
মালদহের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘মালদহের ঘটনায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুন হয়েছেন। সেই ঘটনায় তৃণমূলেরই এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের সরকার অপরাধীদের আড়াল করে না। অপরাধীর কোনও দল বা ধর্ম নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পূর্বতন বাম আমলে এমন উদাহরণ নেই। কিন্তু বর্তমান সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পিছপা হয় না। যদি কেউ অপরাধ করে, সে যে দলেরই হোক, তাকে শাস্তি পেতে হবে।’’
গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে মতামত
অভিষেক স্বীকার করেন যে বড় দলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল থাকা স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘‘যেখানে লক্ষাধিক পদাধিকারী আছেন, সেখানে মতভেদ বা মনোমালিন্য হতে পারে। তবে দলের শৃঙ্খলা সকলের মানতে হবে।’’
তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষায় দল যে সক্রিয়, তা স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘‘কেউ যদি দলকে দুর্বল করতে চান, তাঁর বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ব্যবস্থা নেবে।’’
অভিষেকের বার্তা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘‘দলের একজন বুথ স্তরের কর্মী থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক— সকলকে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। কেউ নিজেকে কেউকেটা ভাবলে দলের দরজা তাঁর জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের নম্র ও বিনয়ী হতে হবে। মানুষ আমাদের নির্বাচিত করেছেন। মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। মৌরসিপাট্টা চালানোর চেষ্টা করলে, তাঁদের জন্য দলেও জায়গা থাকবে না।’’ অভিষেকের এই বক্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়, তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে এবং দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।