খেলাসম্পাদকীয়

বেঙ্গল অলিম্পিক আসোসিয়েশনের নির্বাচন রাজনৈতিক লড়াই নয়, ক্রীড়া সংগঠনের ভোট

Bengal Olympic Association elections are not a political battle, but a vote for sports organizations

Truth of Bengal,জয়ন্ত চক্রবর্তী: বেঙ্গল অলিম্পিক আসোসিয়েশন যার সংক্ষেপিত নাম বি ও এ তার নির্বাচন ঘিরে ময়দান কাঁপছে। এই কম্পনের কারণ এবার বি ও এ সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর ভাই স্বপন ওরফে বাবুন বন্দোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে ভোটের প্যানেল সাজাচ্ছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কেউ কেউ এটিকে তৃণমূল এর অন্তর্দ্বন্দ বলে চালানোর মহান চেষ্টা করছেন। তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন যে বি ও এর সভাপতি নির্বাচনে এর আগের বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায় এর বড়দা অজিত বন্দোপাধ্যায় ও ছোট ভাই বাবুন বন্দোপাধ্যায়।

সেটি কি তাহলে মমতা বন্দোপাধ্যায় পরিবারের গৃহদাহ ছিল? সেই নির্বাচনে বাবুন জিতে বি ও এর মসনদে বসেন। তার জন্যে কি তৃণমূল কংগ্রেস এক চুল উপকৃত হয়েছিল না ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল? বেঙ্গল অলিম্পিক আসসোসিয়েশন ছত্রিশ টি ক্রীড়া সংস্থা নিয়ে গড়া। মোট ভোটার এর সংখ্যা ৬৮। এই ৬৮ টি ভোট নিয়ে অথবা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এর কি আসবে যাবে যেখানে পশ্চিমবঙ্গে ভোটার এর সংখ্যা সাত কোটি চল্লিশ লক্ষ।

বাবুন বন্দোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে বি ও এ গত কয়েকবছরে ভারতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন এমন ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে পারেনি এমন অভিযোগ তুলে রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী যদি বি ও এর নির্বাচনে প্যানেল সাজান তাহলে এত গেল গেল রব তোলার কি আছে? হাওড়া লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন ফুটবলার প্রসূন বন্দোপাধ্যায় কে প্রার্থী করা নিয়ে বাবুন এর তৃণমূল বিরোধী স্টানস এবং মমতার তাঁকে তাজ্য ভাই ঘোষণা করার বিষয় টি এর মধ্যে টেনে আনা হচ্ছে অকারণে।

বাবুন আমাকে নিজে তাঁর বাড়ির ড্রয়িং রুমে বসে বলেছেন ও সব দিদি-ভাইয়ের ঝগড়া, মিটে যাবে। মিটে যে গেছে তার প্রমান ভাইফোঁটার দিনে মমতার বাবুনকে ফোঁটা দেওয়ার ঘটনায়। পুরোনো কাসুন্দি বের করে চাটা যাদের অভ্যাস, তারা চাটবেই। আমি আপনি হাজার চেষ্টা করেও এই অভ্যাস দূর করতে পারব না। তাই বি ও এর নির্বাচনে যাঁরা মমতা বন্দোপাধ্যায় এর প্রতিহিংসার আগুন দেখছেন কিংবা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখছেন তাঁদের জানিয়ে রাখা যেতে পারে যে বি ও এর নির্বাচন টিকে একটি ক্রীড়া সংগঠনের নির্বাচন হিসেবেই দেখুন।

দোহাই এর মধ্যে রাজনৈতিক মারপাঁচ খুজবেন না। মানছি রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা ভোট দেবেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় এর দাদা অজিত বন্দোপাধ্যায় নির্বাচনের কমিশনার, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জুডো সংস্থার ভোটার, আই এফ এর সহ সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসও ভোটার, তিনি আবার ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এর ছোট ভাই। ক্রীড়া সংস্থা গুলির মাথায় তো, পছন্দ করি আর না করি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরাই বসে রয়েছেন। তাই, বি ও এর নির্বাচনে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ না খোঁজাই ভালো। বরং তাকিয়ে থাকি পঁচিশ নভেম্বর এর দিকে। সেদিন মনোনয়ন দাখিল এর শেষ দিন। সেদিনের জন্য অনেক নাটক তো বাকি। শুধু ড্রপসিন ওঠার অপেক্ষা!

Related Articles