ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল ১৫০ বছর আগে,সরকারকে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধি
East India Company was abolished from the country 150 years ago, Rahul Gandhi hits out at the government

Truth of Bengal: ফের বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন রাহুল গান্ধি। তিনি বলেছেন, আসল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল ১৫০ বছর আগে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, তাদের প্রভাব রয়ে গিয়েছে। এখন এটি একচেটিয়াদের (সিন্ডিকেট) একটি নতুন জাত দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
লোকসভার বিরোধী দলের নেতা বলেছেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার ব্যবসায়িক ক্ষমতার কারণে নয়, ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশকে দাস বানিয়েছিল। একটি গণমাধ্যম সংস্থার জন্য লেখা নিবন্ধে সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের দাস করেছিল। এখন আবার যেন সেই দিন ফিরে এসেছে।
রাহুল গান্ধীও এই লেখাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমাদের দেশের রাজা ও নবাবদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করত, তাদের ঘুষ দিয়ে বা হুমকি দিয়ে এই দেশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিল। তারা আমাদের দেশের ব্যাঙ্কিং, প্রশাসনিক এবং তথ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করত ছলাকলার মাধ্যমে। আমরা কোনও দেশের কাছে আমাদের স্বাধীনতা হারাইনি, কিন্তু আমরা একটি একচেটিয়া কর্পোরেশনের কাছে পরাজিত হয়েছি এবং তারপরে একটি নিপীড়ক ব্যবস্থার মধ্যে অতিবাহিত করেছি।
খন মূল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চলে গিয়েছে, কিন্তু এটি একচেটিয়াদের একটি নতুন জাতের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই লেখাটিকে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের এই নেতা লাগাতার সরকারের বিরুদ্ধে কিছু পুঁজিবাদীকে সমর্থন করার অভিযোগ করে চলেছেন।
রাহুল গান্ধী নিবন্ধে লিখেছেন, এই একচেটিয়ারা প্রচুর সম্পদ অর্জন করছে, যার ফলে ভারতে বৈষম্য ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি নিবন্ধে লিখেছেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলি আর সাধারণ মানুষের নয়, তারা একচেটিয়াদের ইশারায় চলে। লক্ষ লক্ষ ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভারত তার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারছে না। এবার সময় এসেছে বেছে নেওয়ার, হয় ভারত, নয়তো একচেটিয়া পুঁজিবাদ। চাকরি নয়তো অভিজাততন্ত্র। যোগ্যতা বা সংযোগ। উদ্ভাবন নাকি ভীতিকর পরিবেশ? সম্পত্তি কি সবার জন্য, নাকি কয়েকজনের জন্য?’
রাহুল তাঁর নিবন্ধে বলেছেন, ভারত মাতা তাঁর সমস্ত সন্তানের মা। তাঁদের সম্পদ এবং ক্ষমতার উপর কিছু লোকের একচেটিয়া আধিপত্য ভারত মাতাকে আঘাত করে। আমি জানি যে ভারতের শত শত প্রতিভাবান ব্যবসায়ী একচেটিয়াদের ভয় পান। আপনি কি তাঁদের একজন? আপনি কি একচেটিয়াদের ভয় পান? আপনি কি ভয় পাচ্ছেন যে রাষ্ট্রের সাথে যোগসাজশ করে আপনার ভূখণ্ডে আপনাকে পিষে ফেলা হবে? আয়কর, সিবিআই বা ইডির অভিযানের ভয়ে আপনি তাঁদের কাছে আপনার ব্যবসা বিক্রি করতে বাধ্য করবেন? ওরা মাঝপথে খেলার নিয়ম পাল্টে দেবে আপনাকে হারাতে?
সেই সঙ্গে রাহুল বলেন, আমার রাজনীতি সবসময় দুর্বল এবং কণ্ঠহীনদের রক্ষা করার জন্য। আমি গান্ধিজীর কথা থেকে অনুপ্রেরণা নিই। বাপুজি বলেছিলেন, লাইনে দাঁড়ানো শেষ ব্যক্তিটিকে রক্ষা করা উচিত। এই প্রত্যয় আমাকে মনরেগা (এমএনআরইজিএ), খাদ্যের অধিকার এবং জমি অধিগ্রহণ বিল সমর্থন করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। আমি আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছি।