ওপার বাংলা

সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ কমিশনের, ‘একনায়কতন্ত্র রোধ’ করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত

Commission recommends bicameral parliament, decision aimed at 'preventing dictatorship'

Truth Of Bengal: সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করতে চলেছে। খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, সংসদের নিম্নকক্ষে ৪০০টি আসন থাকবে। এর মধ্যে ১০০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে, যারা সরাসরি নির্বাচিত হবেন। উচ্চকক্ষে ১০৫টি আসন থাকবে, যা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচিত হবে। সংসদের উভয় কক্ষে মোট ৫০৫টি আসন থাকবে। সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনের সূত্র থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

কমিশনের লক্ষ্য সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র রোধ এবং ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা যাতে ক্ষমতা একক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত না হয়। উপরন্তু, কমিশন বিদ্যমান সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিতেও পরিবর্তনের প্রস্তাব করবে। সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন তার প্রস্তাবগুলি চূড়ান্ত করছে এবং তার কাজের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন ছাড়াও, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনগুলিও বুধবার তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। প্রথম পর্যায়ে গঠিত বাকি দুটি কমিশন – বিচার বিভাগ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন – চলতি মাসের শেষের দিকে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র জানায় যে, সংস্কার কমিশনগুলি তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন প্রস্তাব করবে। তাদের সুপারিশগুলি দুটি বিভাগে বিভক্ত হবে: যেগুলি স্বল্পমেয়াদে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে এবং যেগুলি দীর্ঘ সময়সীমার প্রয়োজন।

তবে, কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সাংবিধানিক সংশোধনীর প্রয়োজন হবে। যেহেতু বর্তমানে কোন সংসদ নেই, তাই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই সাংবিধানিক সংশোধনীগুলি বাস্তবায়ন করা যাবে না। কমিশনগুলির প্রতিবেদন পাওয়ার পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক দলগুলির সাথে আলোচনা শুরু করবে। এই আলোচনাগুলি এই মাসের শেষের দিকে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিষয়টির সাথে পরিচিত ব্যক্তিদের মতে, সংস্কার প্রস্তাব এবং তাদের বাস্তবায়নের বিষয়ে যদি ঐকমত্য তৈরি হয়, তাহলে আলোচনার ফলে একটি রোডম্যাপ বা কাঠামো তৈরি হতে পারে।

Related Articles