কোথায় গেল ১০০০ টাকা! তার বদলে কেন মিলছে পেনসনের জন্য ৩০০-৫০০ টাকা
Where did 1000 rupees go! Instead, why is getting 300-500 rupees for pension

Truth Of Bengal: বরাদ্দ রয়েছে এক হাজার টাকা। কিন্তু এদিকে মিলছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। এমনই ঘটনার শিকার পিএফ গ্রাহকরা। যারা প্রতিনিয়ত নিজেদের হকের পেনসন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ পিএফ দপ্তরই! এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন সম্প্রতি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের আর্থিক রিপোর্ট তৈরি করেছে।
সম্প্রতি সেই রিপোর্ট পেশ হয়েছে কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের বৈঠকে। সেখানেই তারা জানিয়েছে, এদেশে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পিএফের আওতায় পেনশন পেয়েছেন সাড়ে ৭৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ। আর তাঁদের মধ্যে ৩৬ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ পেয়েছেন এক হাজার টাকার কম। শুধু তাই নয়, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় এক হাজার টাকার নীচের পেনশনভোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ হাজার! প্রবীণরা বলছেন, বেশিরভাগেরই মাসিক পেনশন ঘোরাফেরা করে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ পেনশনভোগীদের প্রায় অর্ধেককেই নামমাত্র পেনশন দিচ্ছে কেন্দ্র।
ন্যূনতম পেনশন এক হাজার থেকে বাড়িয়ে অন্তত সাড়ে সাত হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন ইপিএস-৯৫’এর আওতাধীন পেনশন প্রাপকরা। তাঁদের সংগঠন ন্যাশনাল অ্যজিটেশন কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি তপন দত্ত বলেন, ‘ন্যূনতম পেনশন এক হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত কিন্তু মোদি সরকারের নয়। ২০১৪ সালে ইউপিএ আমলে মনমোহন সিং এই ঘোষণা করেন এবং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। তখন বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভরেকর ঘোষণা করেছিলেন, হাজার টাকা পেনশনের নামে কেন্দ্র ভিক্ষা দিচ্ছে। ওই টাকায় মানুষ বাঁচতে পারে না। তাঁরা ক্ষমতায় এলে তিন হাজার টাকা পেনশন দেবেন।
পিএফ দপ্তর যে কারণগুলি সামনে আনে, তার মধ্যে অন্যতম কারণ কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ। কেন্দ্রের যুক্তি, যাঁরা ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করেননি, তাঁরা ন্যূনতম পেনশন পাবেন না। অন্তত ১০ বছর চাকরি না করলেও মিলবে না ন্যূনতম পেনশন।
কিন্তু আসলে যাঁরা এই শর্ত দু’টি পূরণ করতে পারেন বা পারছেন না তাঁদের অন্তত ৯০ শতাংশের সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।যদি কেউ কর্মরত থাকাকালীন মারা যান, তাহলেও তিনি মেয়াদ শেষ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রেও ফ্যামিলি পেনশন এক হাজার টাকা দেয় না কেন্দ্র।
ইপিএফও’র কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের অন্যতম সদস্য এস পি তিওয়ারি বলেন, ‘আমি এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে ইস্যুটি তুলেছিলাম। আমার বক্তব্য ছিল, খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির সূচক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার) ১০ বছরে ১.৭ গুণ বেড়েছে। কিন্তু পেনশনের অঙ্ক বাড়েনি। কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে শ্রমসচিব বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’