ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণ করা নিয়ে কি বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
What did Mamata Banerjee say about implementing the Ghatal Master Plan?

The Truth of Bengal: বিজেপি আসলে কোনও ধর্মই মানে না। ওঁদের ধর্ম পাশবিকতার ধর্ম,দানবিকতার ধর্ম। বিভেদ কিভাবে মানুষকে দুর্বল করে সেকথা প্রচারে তুলে ধরতে গিয়ে গড়বেতার সভায় এই অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের বিকাশে একমাত্র বাংলার সরকারই কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বস্ত করেন,মেদিনীপুরে জুন মালিয়া আর ঘাটালে দেব জিতলে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণ করা হবে।
বাংলায় যে উন্নয়ন হয়েছে,তার রিপোর্টকার্ড তুলে ধরলে রামায়ান-মহাভারত শেষ হয়ে যাবে,কাহিনী ফুরোবে না।এখন লোকসভার ভোটে রাজ্যের কাজের খতিয়ান দেওয়ার প্রয়োজন নেই।তবুও তিনি বঙ্গবাসীর স্বার্থে উ্ন্নয়নের তরী যে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাও স্পষ্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর প্রশ্ন,.কেন্দ্র কী করেছে,এখন দেশবাসীর সামনে তুলে ধরুন নরেন্দ্র মোদি। মেদিনীপুরবাসীর শিকড়ের সমস্যা ফিবছর বন্যা।ফি বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। শিলাবতী, ঝুমি ও কংসাবতী নদীর জল বাড়লে ঘাটাল মহকুমার নানা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রূপনারায়ণ দিয়ে সেই জল বেরিয়ে গেলে সমস্যা কাটে। সেজন্য ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়।কিন্তু বাংলার সরকারের সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি কেন্দ্র।রাজ্যের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় কেন্দ্র।কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মাঝে ঘাটালবাসীর দুর্ভোগ কমানোর কথা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শুক্রবার পিংলার সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো আশ্বাস দেন,মেদিনীপুর,ঘাটালও ঝাড়গ্রামে তৃণমূল প্রার্থী জিতলে রাজ্য সরকারই এই এলাকার মানুষকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান উপহার দেবে।প্রসঙ্গতঃ দেবের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আরামবাগের সভাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দেন,তিনি ঘাটালবাসীর ফি বছরের সমস্যার সুরাহা করবেন সবার আগে।
ঘাটালের মানুষের কষ্টের দিনে দাঁড়ি টানার আশ্বাস দিতেই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উল্লাস ছিল নজরকাড়া।পিংলার পাশাপাশি তিনি শুক্রবার গড়বেতাতেও দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেন।সেখানে তিনি জঙ্গলমহলের উন্নয়ন থেকে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।বাম আমলে যখন মাওবাদী সন্ত্রাস হত তখন একমাত্র তিনি আসতেন শান্তির স্বার্থে।বিনাপয়সায় রেশন থেকে শ্রমিকদের ৫০দিনের কাজের গ্যারান্টি সবই উঠে আসে তাঁর কথায়।আর বাংলার এই শান্ত ভূমিকে যারা উস্কানি দিয়ে অশান্ত করতে চাইছে তাঁদের অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক থাকার আবেদন জানান।যাঁরা আদিবাসী-জনজাতির অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে,যাঁরা জঙ্গলমহলে ভাগাভাগির রাজনীতি করতে চাইছে তাঁদের আসলে পাশবিক শক্তি বলে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি কিভাবে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য থেকে আদিবাসী সমাজের বিবাহরীতি সবকিছুতে আঘাত করতে চাইছে সেবিষয়ে বাংলার মানুষকে সজাগ থাকার বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।