যৌথ নেতৃত্বে বীরভূমে জয়, তৃণমূলের ব্যবধান বাড়ল
Victory at Birbhum under joint leadership

The Truth of Bengal: অনুব্রতহীন বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিত পথেই জয় হাসিল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১লক্ষ ৯৭হাজারের বেশি ভোটে জয় নিশ্চিত করেছেন শতাব্দী রায়। অসিত কুমার মালও প্রায় ৩লাখের বেশি ভোটে জিতেছেন।বীরভূমে জোড়া প্রার্থীর এই বিপুল জয়,আসলে যৌথ নেতৃত্বের সাফল্য বলা যায়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাজানো ঘুঁটিতেই বিজেপির পাশার দান উল্টে গেছে বলেও অনেকের অভিমত। বীরভূমের রাজনীতিতে জায়গা করে নেওয়ার জন্য বিজেপি প্রথম থেকেই ঘুঁটি সাজায়। অভিযোগ,বিজেপির নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা ভরা হয়।অনুব্রতহীন বীরভূমে পাশা বদলের নানা প্রক্রিয়া চলে। কিন্তু ভোট বাক্সে সেই পাশা বদলের খেলা দেখা যায়নি।গেরুয়া শিবির যাতে দাঁত ফোটাতে না পারে সেজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাল ধরেন। মমতার নির্দেশিত পথেই লালমাটির জেলার রাজনীতিতে এগোনোর চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা রাজনীতির স্টিয়ারিং ধরতেই ভোল বদলে যায়। কেষ্টহীন বীরভূমে আশঙ্কা তৈরি হয়, বাম-কংগ্রেস ভোট ময়দানে নেমে কী সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবে ? এই সমস্ত জল্পনার অবসান হয় মঙ্গলবার দেখা যায়। বলা যায়,বীরভূমে রয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্রে।
যারমধ্যে অন্যতম বোলপুরও বীরভূম লোকসভা। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অসিত কুমার মাল ৩লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন।অসিত মালের প্রাপ্ত ভোট ৮লাখ ৫৫হাজারের বেশি। আর বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৫লাখ ২৮হাজারের ওপর ভোট,অন্যদিকে শতাব্দী রায় পেয়েছেন ৭লাখ ১৭হাজারের বেশি ভোট,বিজেপির দেবতনু ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৫লাখ ২০হাজারের কাছে ভোট।শতাব্দী রায় ১লক্ষ ৯৭হাজারের বেশি ভোটে জিতে বীরভূমে জয় পেয়েছেন। দুই প্রার্থীর এই বিপুল জয় আসলে প্রমাণ করল কেষ্টহীন বীরভূমে রাম রাজনীতির বাড়বাড়ন্ত আর হচ্ছে না।জয়ের পর কার্যতঃ উচ্ছ্বসিত শতাব্দী রায়।জয়ের ব্যবধান বাড়ায়, বুথ স্তর থেকে সংগাঠনিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ লড়াইকে বড় করে দেখছেন বীরভূমের জয়ী প্রার্থী।
এজেন্সি দিয়ে বিজেপির ভয় দেখানো, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বারবার হুমকি।সব প্ররোচনাকে পিছনে ফেলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা একযোগে মোকাবিলা করায় ঘাসফুলের শিকড় শক্ত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল না থেকেও ভোটে ছিলেন। তাঁর সাংগঠনিক কৌশলকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল শক্তি সঞ্চার করে।বিজেপি যখন গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার হয়ে যায়,তখন তৃণমূল কংগ্রেস এককাট্টা লড়াইতে ফসল ঘরে তোলে। গেরুয়া শক্তির ছক বানচাল করে তৃণমূল বীরভূমের ২-২ আসনেই লক্ষ্যভেদ করেছে। জয়ের পর এখন সেই অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই দেখা করতে চান শতাব্দী রায়। অনুব্রত মণ্ডলের সাহায্য নিয়ে শতাব্দী রায় বীরভূম থেকে সাংসদ হন। এখন সেই অনুব্রত মণ্ডলের পরামর্শ মেনেই আগামীদিনে কাজ করতে চান বলেও বুঝিয়ে দেন তিনি।তাই কেষ্ট-র রাজনীতির ঘরানা যে বীরভূমকে তৃণমূলের বুনিয়াদ গড়তে সাহায্য করেছে তা বলাই যায়।