রাজ্যের খবর
Trending

‘নবান্নের দেশ’ আর পিঠে-সংস্কৃতি! ডুয়ার্সে পিঠেপুলি উৎসবের রস আস্বাদন পর্যটকদের

Tourists enjoy Pithepuli festival in Duars

The Truth Of Bengal: যাঁরা বাড়ি ছেড়ে শীতের চাদর গায়ে জড়িয়ে ঘুরছেন তাঁরাও যাতে পিঠের স্বাদ মিস না করেন সেজন্য এগিয়ে এসেছে এবার রিসর্ট মালিকরা। ডুয়ার্সের ট্যুরিস্ট লজে আয়োজন করা হয়েছে ঘরোয়া পিঠেপুলির অনুষ্ঠান। দুধপিঠে থেকে ভাপা পিঠে,বা পার্টি সাপটা থেকে গোকুলপিঠে,সহ নানান রকমের পিঠে চেটেপুটে উপভোগ করছেন পর্যটকরা।তাই  বাড়ির বাইরে থেকেও সংক্রান্তির স্বাদের উত্সব উপভোগের সুযোগ পেয়ে বেজায় খুশি ভ্রমণপিপাসুরা।

শীতের সময় অনেকেই বাড়ির বাইরে থাকেন।তাঁরা বেড়াতে যান জঙ্গল বা বনভূমিতে। এইসময়ে উত্তরবঙ্গের সবুজ ভূমিতে ঘুরতে গেছেন কেউ কেউ।তাঁদের পৌষের পিঠেপুলির স্বাদ মেটানোর সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এসেছেন রিসর্ট মালিকরা।ডুয়ার্সের মাদারিহাটের জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য কেন এই পৌষের উপহার তুলে দেওয়া হচ্ছে,তাও ব্যাখা করছেন আয়োজকরা।  পৌষ পার্বণে বহু পর্যটক জঙ্গলে ঘুরতে আসার কারণে বাড়িতে বসে পিঠে খাওয়ার সুযোগ পান না। বিশেষ করে বাঙালি পর্যটকরা। তাঁদের জন্য  সকালের প্রাতরাশে পর্যটকদের হরেক পদের পিঠে  খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জঙ্গল সাফারির জন্য জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পর্যটন দপ্তরের জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে ৩৪ টি রুমেই ঠাসা বুকিং। কোন ঘর ফাঁকা নেই। হলং  বন বাংলোতেও একই পরিস্থিতি । বেসরকারি লজ রিসর্ট ও হোমস্টে গুলিতেও থিকথিকে ভিড় পর্যটকদের । সর্বত্রই একবারে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা । তার মাঝে এই ঘরোয়া পিঠে পাত পেড়ে খাওয়ার সুযোগ পেয়ে রসিকজনরা বেজায় খুশি।

বাংলার পিঠে এক অপরূপ শিল্প। পৌষসংক্রান্তি বা পয়লা অঘ্রান যদিও বিশেষ দিন, কিন্তু সমস্ত শীতকাল, অর্থাৎ পৌষ-মাঘ মাস জুড়েই চলে পিঠের উৎসব।শ্রীরামকৃষ্ণের অনবদ্য কথনশৈলীতেও উঠে এসেছে গ্রামবাংলার এই পিঠে ও তার ভিতরে ঠাসা পুরের উপমা। বলা যায়, বাঙালির পিঠে পার্বণ  ঐতিহ্যবাহী ও চিরন্তন বঙ্গ-সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। হেমন্তের প্রেমিক কবি জীবনানন্দের আকুতি ছিল নবান্নের দেশে ফিরে আসার।তাই আমরা বলতেই পারি, বেঁচে থাক আমাদের ‘নবান্নের দেশ’ আর তার পিঠে-সংস্কৃতি!

Free Access

Related Articles