ইঞ্জিনিয়ারিং-মেডিক্যালে পড়ুয়াদের যোগ্য করে তুলতে রাজ্যে চালু হচ্ছে যোগ্যশ্রী প্রকল্প
To qualify the students in Engineering-Medical, the State is launching the Yegheshree project

The Truth Of Bengal : যুবসমাজের স্বপ্নপূরণ করতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার।সেজন্য মেধাবী পড়ুয়াদের জীবনের উত্তোরণের পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে।সেই লক্ষ্যে ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পে রাজ্যের সংখ্যালঘু, ওবিসি ও জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলার সরকার। বলা যায়,রাজ্যের অনেক পড়ুয়াই দক্ষতা না থাকায় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে না।ভিনরাজ্যের পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তাঁরা টেক্কা দিতে পারে না।তাই কৃতীদের জীবন গঠনকে সহজতর করতে ও দক্ষ করতে তুলতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ।যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।বলা যায়,এতদিন এই প্রকল্পে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা পড়ার সুযোগ পেতেন।
প্রকল্পের বিপুল সাফল্যের পর, বাকি ছাত্রছাত্রীদেরও যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার একথা নিজেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই খবর সকলকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পড়ুয়াদের কল্যাণে রাজ্য সরকার,শিক্ষাশ্রী,কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প রূপায়ণ করেছে।এমনকি উচ্চশিক্ষায় যোগ্যদের এগিয়ে দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড।সেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বহু পড়ুয়া ভিনরাজ্যে না গিয়ে এখানেই পড়ার সুযোগ নিচ্ছেন। এছাড়াও শিক্ষিত যুবসমাজের সদস্যগের ট্রেনিং দিয়ে যোগ্য করে তোলা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে।উত্কর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে জীবনের উত্কর্ষ বিধান হচ্ছে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর।এমনটাই দাবি করছেন প্রশাসনের কর্তারা।পড়ুয়াদের সঙ্গে শিল্পপতিদের সেতুবন্ধনের জন্য দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ।
মিলছে চাকরি,বাড়ছে কর্মসংস্থান। ফলে তাঁদের জীবন সাফল্য নিশ্চিত হচ্ছে। নানা প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়াদের উত্তোরণের পথ পরিষ্কার হচ্ছে।আশা করা হচ্ছে ব্রেন ড্রেন আগের তুলনায় অনেকটাই কমবে।ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার পড়ুয়াদের ভিনরাজ্যে না গিয়ে বাংলায় থেকে বাংলার সম্পদ কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের দিশা দেখানোর অনুরোধ করেছেন।তরুণসমাজ সেই ডাকে সাড়া দিলে এই বাংলা বিশ্ববাংলায় রূপান্তরিত হতে পারে বলে আশা মুখ্যমন্ত্রীর।