হুমায়ুন কবীরের বিধায়ক পদ খারিজ নয়! তৃণমূলের অন্দরে কী চলছে? শুরু রাজনৈতিক চর্চা
দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় তাঁর পদ খারিজের সম্ভাবনা থাকলেও, কৌশলগত কারণেই তৃণমূল এই পথে হাঁটছে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Truth Of Bengal: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করলেও, তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আপাতত বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন করছে না তৃণমূলের পরিষদীয় দল। পরিষদীয় সূত্রের খবর, হুমায়ুন কবীর প্রসঙ্গে বর্তমানে কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি দিতেও নারাজ শাসক দল। দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় তাঁর পদ খারিজের সম্ভাবনা থাকলেও, কৌশলগত কারণেই তৃণমূল এই পথে হাঁটছে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত ৪ ডিসেম্বর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে হুমায়ুন কবীরকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস। বহিষ্কারের পর হুমায়ুন পাল্টা দাবি করেন, বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ। প্রথমে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও, পরে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করে জানান যে বিধায়ক পদে বহাল থাকবেন। গত সোমবার তিনি নিজস্ব রাজনৈতিক দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’-র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন এবং ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বার্তাও দেন।
তৃণমূলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছিল যে, নতুন দল গঠনের পর হুমায়ুনকে দলত্যাগ বিরোধী আইনের জালে ফেলা হবে কি না। তবে পরিষদীয় দলের এক সদস্যের মতে, নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকায় এখন হুমায়ুনকে নিয়ে কোনো পদক্ষেপ করে তাঁকে ‘রাজনৈতিক শহিদ’ হিসেবে তুলে ধরার সুযোগ দিতে চায় না দল। তাই তাঁর সদস্যপদ খারিজ নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো তাড়াহুড়ো নেই তৃণমূলের।
অন্যদিকে, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বিধায়ক পদ বা নতুন দল গঠন সংক্রান্ত কোনো তথ্য হুমায়ুন কবীর এখনও বিধানসভাকে জানাননি। প্রয়োজন হলে তাঁর অবস্থান জানতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হতে পারে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও পদ খারিজের কোনো আবেদন জমা পড়েনি।
হুমায়ুন যখন নিজের দল গোছাতে ব্যস্ত, তখন বুধবারই ভরতপুর ১ ও ২ ব্লকের মাদার, যুব, মহিলা ও শ্রমিক সংগঠনের নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করে সেই এলাকায় সংগঠন ধরে রাখার কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।






