রাজ্যের খবর

সুখবর! বাড়ি বাড়ি খাবার এবং পণ্য সরবরাহকারী কর্মীদের সুরক্ষা দেবে রাজ্য, তৈরি হবে বিশেষ বোর্ড

The state will provide protection to door-to-door food and product delivery workers

The Truth of Bengal: ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া ছেলেমেয়েদের জন্য নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। তারা যাতে নূন্যতম মজুরি থেকে দুর্ঘটনা বিমাসহ বাকি তাই তাদের জন্য একটি ওয়েলফেয়ার বোর্ড তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি নবান্ন এ বিষয়ে রাজ্যের অর্থ, শ্রম, পরিবহন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে এই অ্যাপ নির্ভর বেসরকারি খাবার সরবরাহকারী সংস্থার প্রতিনিধীরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই ঠিক করা হয়েছে, খাবার ডেলিভারি করা সমস্ত ছেলেমেয়েদের জন্য একটি ডেটাবেস তৈরি করবে রাজ্য সরকার। সংস্থার মাধ্যমেই দেওয়া হবে ই-কার্ডও। ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বাইরে বাইক চুরি যে ছেলে-মেয়েরা বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে তাদের কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এক নির্ভর খাবার সংস্থার কর্মীদের বলা হয় গিগ ওয়ার্কার্স। রাজ্যে কি ধরনের কর্মীদের সংখ্যা ঠিক কত সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য রাজ্যের কাছে নেই। সঠিক তথ্য না থাকার ফলে প্রথম ধাপে একটি ডেটাবেস তৈরি করবে নবান্ন।

তারপর কোন সংস্থার কতজন কর্মী আছে, তারা সঠিক মজুরি পান কিনা, তাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখা হবে। বিষয়গুলি দেখাশোনা করবে ওয়েলফেয়ার বোর্ড। ডেলিভারি কর্মীদের একটি স্বীকৃতি ও দেওয়া হবে। এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে পরিবহন দফতর থেকে। এই প্রসঙ্গে নবান্নের এক কর্তা জানান, বেসরকারি এই খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলোকে বলা হয়েছে, গিগ কর্মীদের জন্য ই-কার্ড তৈরি করবে পরিবহণ দপ্তর। কার্ডপিছু সামান্য একটি ফি জমা দিয়ে তা নিতে হবে ওই সংস্থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই এই বেসরকারি অ‌্যাপ সংস্থাগুলো এখানে ব্যবসা করলেও তাঁদের থেকে সেভাবে কোনও ট্যাক্স পায় না সরকার। প্রাইভেট নাম্বার প্লেটের বাইকেই চলে জিনিসপত্র সরবরাহের কাজ। বাণিজ্যিক নম্বর প্লেটের সিদ্ধান্তের কথা পরিবহণ দপ্তর বললেও বিষয়টি খুব একটা এগোয়নি। তাই এবার সংস্থাগুলোকেই ই কার্ড সংগ্রহের কথা জানানো হয়েছে।

নবান্নের আরও এক কর্তা জানান, কোভিডের সময় থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দাওয়া কিংবা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার অ্যাপগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই অ্যাপগুলোর দৌলতে বাজারে না গিয়ে ঘরে বসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এই পরিষেবা পাওয়ার ফলে বিভিন্ন বেসরকারি অ্যাপ সংস্থা গুলি হাজার হাজার ছেলে মেয়েদের দিয়ে কাজ করেন। কেউ সেই সংস্থায় ফুল টাইমের জন্য কাজ করেন আবার অনেকে অন্য কাজ করার সাথে সাথে কয়েক ঘণ্টার জন্য এই কাজ করতে থাকে। কিন্তু এই কাজের সাথে যুক্ত কর্মীদের দাবি, অন্যান্য রাজ্যে গিগ কর্মীদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। এই সুযোগ সুবিধা গুলি তারা এখানে পান না। কর্মীদের আরও দাবি, নির্ধারিত সময় ধরে কাজ বেঁধে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র খাওয়া ও বিশ্রামের জন্য তাদেরকে ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়। এছাড়াও তারা আরও একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাই নিচ্ছে রাজ্য সরকার।

Related Articles