হারিয়ে যাওয়া জিওল মাছ ফিরবে, সরকারি উদ্যোগে চলছে কর্মযজ্ঞ
The lost Jeol fish will return, the government initiative is going on

The Truth of Bengal: গ্রাম বাংলার খাল-বিল পুকুর-ডোবা থেকে বিলুপ্তপ্রায় সিংয়ের মাগুর কই-সহ বিভিন্ন ধরনের জিওল মাছ। সেই মাছ কি আর ফিরবে না? মৎস্যপ্রিয় বাঙালি বারবার এই প্রশ্ন করে। সরকারি উদ্যোগ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরে। বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন জিওল মাছ চাষের পরিসর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এই উদ্যোগে জিওল মাছ ফিরবে আবার কর্মসংস্থান বাড়বে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন জিওল মাছের চাষ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা ও রাজ্য গ্রাম উন্নয়ন দফতরের সাহায্যে সিএডিসি প্রকল্পে কই মাছ চাষ শুরু হয়েছে।
তবে সরাসরি পুকুর-ডোবা কিংবা খাল-বিলে নয়, চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ শুরু করা হয়েছে। কই মাছের চাষ শুরু করার পাশাপাশি এই মাছ চাষের সম্প্রসারণ ও ব্যাপ্তি ঘটাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কম খরচে সহজেই চৌবাচ্চায় কই মাছের চাষ সম্ভব। ফলে কর্মসংস্থানের দিক থেকে চৌবাচ্চায় কই মাছ চাষ উপযোগী। বিলুপ্তপ্রায় কই মাছ চাষের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান ফিরতে পারে। এই বিষয়ে সিএডিসি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডঃ উত্তম কুমার লাহা জানান, কই মাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় এখন বাজারে চড়া দাম।
পুরোপুরি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে না হলেও মাটির চৌবাচ্চায় পলিথিন দিয়ে কই মাছের চাষ সম্ভব। বাড়িতে সহজে কই মাছের চাষ করা যায়। বাজার মূল্য ভাল থাকায় এই মাছের চাষ লাভজনক। জিওল মাছ চাষের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াতে বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিলুপ্ত মাছ ফেরাতে সরকারি উদ্যোগে মাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে। তবে সরকারি উদ্যোগে শুধু কই মাছ নয়, শিঙ্গি-মাগুর সহ অন্যান্য জিওল মাছ চাষেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য, জিওল মাছ ফেরানো এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো।