রাজ্যের খবর

ছাগলের টোপেই বাজিমাত! অবশেষে খাঁচাবন্দি কুলতলির দক্ষিণরায়

The goat's bait is the winner! Finally, the caged Dakshinrai of Kultali

Truth of Bengal: দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বাঘটি অবশেষে খাঁচায় বন্দি হল। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটের দিকে বনকর্মীরা সাফল্যের সঙ্গে বাঘটিকে ধরেন। গত সোমবার এই বাঘটিকে ধরতে গিয়ে এক বনকর্মী আহত হন। তিনি বাঘের কামড়ে গুরুতরভাবে জখম হয়ে বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রবিবার সন্ধ্যার দিকে কুলতলির মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর এলাকায় বাঘের দেখা পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা দাবি করেন, তারা বাঘটি দেখে ফেলেছেন। এক তরুণ জানান, তিনি জেটিঘাটের কাছে বসে ছিলেন, তখন শ্মশানঘাটের কাছ থেকে একটি বাঘ ঘুরতে দেখেন। এরপর গ্রামবাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে জঙ্গলের দিকে চলে যান এবং সেখানে বাঘের পায়ের ছাপও দেখতে পান।

এমন খবর পেয়ে বনকর্মীরা তৎপর হয়ে ওঠেন এবং বাঘটিকে ধরার জন্য সবজিক্ষেতে দুটি খাঁচা পাতা হয়। টোপ হিসাবে রাখা হয় ছাগল। সোমবার সকালে জানা যায়, বাঘটি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি, তবে জালের আশপাশে ছিল। বনকর্মীরা তখন খাঁচায় বন্দি করার চেষ্টা শুরু করেন। এক পর্যায়ে, বাঘটি বনকর্মী গণেশ শ্যামলের ওপর হামলা করে, তাঁর ঘাড়ে কামড় বসিয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরে অন্য বনকর্মীদের সহায়তায় তিনি রক্ষা পান।

এদিন ভোরে বাঘটি খাঁচায় বন্দি হওয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীরা সেখানে ভিড় জমান। বন দফতরের ডিএফও নিশা গোস্বামী জানান, বাঘটিকে এখন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘটির বয়স প্রায় ১০ বছর এবং এটি ছাগলটি কিছুটা খেয়েছে।

বাঘটি কেন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নিশা গোস্বামী জানালেন, বাঘের বয়স বাড়লে বা জঙ্গলে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে তারা মাঝে মাঝে লোকালয়ে চলে আসে।

বনকর্মীদের পরিশ্রম এবং সাহসিকতায় বাঘটিকে ধরা সম্ভব হয়েছে, এবং এখন সবাই আশাবাদী যে বাঘটিকে দ্রুত তার স্বাভাবিক বাসস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

Related Articles