রাজ্যের খবর
Trending

বনসম্পদ রক্ষা ও বনাঞ্চল বাড়াতে লাগাতার কাজ করে চলেছে রাজ্যের বন দফতর

The forest department of the state is continuously working to protect the forest resources and increase the forest area

The Truth Of Bengal : পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, ঐতিহ্যপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণে ও জীবন জীবিকার মানোন্নয়নে জোর। সেইসঙ্গে মানব-বন্যপ্রাণী সংঘাত হ্রাস করতে বদ্ধপরিকর রাজ্যের বন দফতর। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বনমহোৎসবের মাধ্যমে একদিনব্যাপী নিবিড় বনসৃজন প্রকল্পের দ্বারা ২,৩৬৮ হেক্টর জমিতে ৩২ লক্ষ চারা রোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করা হয়েছে। রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে মোট ৪,২৫০ হেক্টর জমিতে সবুজায়ন সম্ভব হয়েছে। ‘সবুজশ্রী’ প্রকল্পে সদ্যোজাতদের মায়েদের হাতে মোট ৫৯ লক্ষ চারাগাছ প্রদান করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের বন দফতর উল্লেখযোগ্য কাজ করে চলেছে। বন্যপ্রাণীদের উপযুক্ত পরিবেশ প্রদান করতে এবং দর্শনার্থীদের বন্যপ্রাণী দর্শনের বেশি সুবিধা দিতে রাজ্যের বিভিন্ন চিড়িয়াখানা, বন্যপ্রাণী পার্ক ও অভয়ারণ্যে বহুবিধ পরিকাঠামোগত এবং সুযোগসুবিধার মান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। গত তিন বছরে জলদাপাড়া ও গরুমারা অভয়ারণ্যে গণ্ডারের মতো বিশেষ প্রজাতিকে রক্ষণাবেক্ষণের প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সংখ্যা ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ২৮৯ থেকে ৩৪৭ করা গিয়েছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় কমপক্ষে ১০১টি বাঘের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।

বন দফতর ২০০৬ সাল থেকে শকুন সংরক্ষণ ও বংশবৃদ্ধি প্রকল্পে শকুনের জিপস প্রজাতিকে সফলভাবে প্রজনন করতে সক্ষম হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩৩টি জিপস প্রজাতির বন্দি শকুনকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং স্যাটেলাইট ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয় উত্তরবঙ্গে। সেই হাতিকে বাঁচাতে বন দফতর নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেলের আলিপুরদুয়ার শাখার সঙ্গে সহযোগী কার্যক্রম হিসাবে একটি বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। রেলপথের ওপর হাতিদের উপস্থিতি যাতে ট্রেন চালকরা টের পান তাঁর জন্য একটি বিশেষ সেন্সর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। মাদারিহাট থেকে নাগরাকাটা পর্যন্ত বিস্তৃত ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাইবার অপটিক সেন্সর ব্যবস্থা বিশেষভাবে কার্যকরী হয়েছে।

 

FREE ACCESS

Related Articles