বিরোধীরা পদে পদে চাকরি দেওয়ার কাজে বাধা দিচ্ছে,আরামবাগের সভায় উচ্চস্বরে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata Banerjee

The Truth of Bengal: বিরোধীরা গণতন্ত্রের পথে রাজনীতি করুন।মাঠে ময়দানে নেমে মোকাবিলা করুন।কিন্তু বাংলার যুবসমাজের স্বার্থে চাকরি আটকানোর রাজনীতি বন্ধ করুন।কাজ আটকে দেওয়া বড় দুর্নিতি।আরামবাগের সভায় আরও উচ্চস্বরে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।তাঁর আরও তোপ, বাংলার টাকা আটকে রেখে বিজেপি একদিকে ২১লক্ষ মানুষের রুটি রুজিতে কোপ বসিয়েছে।আর অন্যদিকে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি আটকে ভবিষ্যত প্রজন্মের ভবিষ্যত নষ্ট করছে। রাজ্যের যুবক-যুবতীদের স্বার্থে আরামবাগের পরিষেবা প্রদানের সভা থেকে বিরোধীদের নেতিবাচক রাজনীতি বর্জন করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণা,
- কেন্দ্রের ১কোটি ১৬হাজার বকেয়া সত্ত্বেও ৫০দিনের কাজের গ্যারান্টি
- বঞ্চিত জবকার্ড হোল্ডারদের কাজ দিচ্ছে রাজ্য সরকার
- বাংলায় আরও ৫ লক্ষ শূন্য পদ পূরণ করতে চায় রাজ্য সরকার
- ১লক্ষ শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে,পুলিশে নিয়োগ হবে ৬০হাজার
- দমকল, পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরিতে কর্মী নিয়োগ
- রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন,‘কিছু ফুরফুরে উড়ে বেড়াচ্ছে। নিয়োগ হলেই তারা কোর্টে চলে যাচ্ছে। মামলা করে সব আটকে দিচ্ছে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির কিছু ফুরফুরে প্রজাপতির মতো উড়ে উড়ে এই সব করে বেড়াচ্ছে।কেন্দ্রের রাজনীতির জন্য বাংলার একশদিনের কাজের শ্রমিকদের পেটে টান পড়ছে।ফিবছর বন্যায় ফসল নষ্ট হচ্ছে ঘাটালের কৃষকদের।তাই কেন্দ্র টাকা না দিলেও রাজ্যই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণ করবে। আরামবাগ থেকেই ঘাটালবাসীর প্রত্যাশাপূরণ করতে ২৭০৮কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্প সম্ভাবনার জন্য রাজ্যে ৬টি ইকনমিক করিডর তৈরি হচ্ছে। যেখানে আরও কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রশাসনিক প্রধান।রাজনীতির অঙ্ক বলছে, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, এই আরামবাগ আসনে জয়ী হন।একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পুরশুড়া, আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুলে জেতে বিজেপি।হুগলির হরিপাল, তারকেশ্বর, চন্দ্রকোনা জেতে তৃণমূল কংগ্রেস।তাই এই অবস্থায় বিজেপিকে ছেড়ে তৃণমূলকে জয়ী করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্য বর্জন করে বাংলাতেই স্বপ্নপূরণ করার ডাকও দেন তিনি। ধর্মনিরপেক্ষতার পীঠস্থানে থেকেই সবার কাজ আর রোজগারের বিকল্প ধারা যে অব্যাহত থাকবে সেই বার্তাও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।