রাজ্যের খবর

গরমে উপেক্ষা করে চলছে প্রচার, শেষ লগ্নে ঝাঁজ বাড়াচ্ছে সব দল

The campaign is being ignored in the summer

The Truth of Bengal: প্রথম দু-দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আর পাঁচ দফা বাকি। এদিকে রাজ্যজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সেই গরমকে উপেক্ষা করে চলছে প্রচার। রোড শো থেকে শুরু করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থী। প্রচার ঘিরে সরগরম হয়ে উঠছে রাজনৈতিক ময়দান। তবে গরমের কারণে সব দলের প্রার্থী সকাল ও বিকেলের দিকটা বেছে নিচ্ছেন।

রাজ্যজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আগামি কয়েকদিন স্বস্তির কোনও লক্ষণ নেই। এমন অবস্থায় দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে লোকসভা নির্বাচন। গরমের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে রবিবাসরীয় প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সব দলের প্রার্থী। গরমের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে প্রচারের ঝাঁজ বাড়ছে। যার জন্য সরগরম হয়ে উঠছে রাজনৈতিক ময়দানে। তবে তীব্র গরমের জন্য প্রার্থীরা সকাল ও বিকেলের দিকে রোদ কম থাকার সময়টাকে বেছে নিচ্ছেন। তীব্র গরমে সবদিক খেয়াল রেখে প্রচার চালাচ্ছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।

দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হানের সমর্থনে প্রচার করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ইংরেজবাজার শহরে জনসভা করেন তিনি। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে কী ভাবে উপকৃত হচ্ছে রাজ্যের মানুষ, তা তুলে ধরেন তিনি। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মহিলাদের কাছে কতটা আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হান দাবি করেন, এখানে কোনও কাজ করেননি বিদায়ী কংগ্রেসের সাংসদ। মানুষের কাজের জন্য তাঁকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তৃণমূলপ্রার্থী।

যাদবপুর কেন্দ্র জোরদার প্রচার চালাতে দেখে গেল সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে। সোনারপুরের নাঙলবেড়িয়া এলাকায় তাঁকে সাইকেল চেপে প্রচার করতে দেখে গেল। প্রচারে তিনি জনসংযোগকে বেশি গুরুত্ব দেন। একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলের পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রের শাসক দলের কটাক্ষ করে মানুষের মধ্যে প্রচার চালান। সেই সঙ্গে তিনি বলতে থাকেন তারা ক্ষমতায় এলে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা দ্বিগুণ করে দেবেন।

বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনার তালিকায় প্রথম দিকে আছে মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। রবিবার তাঁকে প্রচার কোর্টে দেখে গেল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে। বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে রোড শো-তে অংশগ্রহণ করেন। আসানসোল বুধা মাঠ থেকে এসবি গড়াই রোড হয়ে মহিশিলা কলোনিতে গিয়ে শেষ হয় মিঠুনের রোড শো।

তাঁকে ভোট দিলে পদ্মফুল আর ঘাসফুল দুই ফুলের বিরুদ্ধেই ভোট দেওয়া হবে। নিজেকে ককটেল প্রার্থী হিসেবে দাবি করে রবিবাস্রীয় প্রচার চালাতে দেখা গেল বীরভূমের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ। রবিবার সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁকে প্রচার কোর্টে দেখে গেল। বিজেপির হয়ে মনোনয়ন দেওয়া দেবাশিস ধরের প্রার্থীপদ বাতিল হওয়াকে গটআপ গেল বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে মূল লড়াই হলেও প্রচারে খামতি রাখছেন কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ।

Related Articles