মাকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছেলে, সম্পত্তির লোভে খুন বলে দাবি
The 65-year-old woman was killed by her son and grandmother

The Truth of Bengal: আবারও মাকে খুনের শিউরে ওঠা ঘটনা প্রকাশ্যে এল। অভিযোগ,প্রভা নাথ নামে বছর ৬৫-র মহিলাকে খুন করে তাঁর ছেলেও বৌমা। খুনের পর দেহ বাড়ির পাশে জঙ্গলে ফেলে দেয়। অমানবিক খুনের ঘটনায় মহেশতলায় শোরগোল পড়ে গেছে।পুলিশ,অভিযুক্ত বিজয় নাথ ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করে জেরা শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন,সম্পত্তি নিয়ে প্রায়শই মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করতেন ছেলে ওবৌমা। খুনের কিনারা করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।
যে মা পৃথিবীর আলো দেখান,যে মা মায়া-মমতা দিয়ে সন্তানকে বড় করেন,সেই মাকেও খুন করতে ছাড়ছে না কুলাঙ্গার সন্তানেরা।পূর্ববর্ধমানের জামালপুর,মুর্শিদাবাদের নওদার পর দক্ষিণ ২৪পরগনার মহেশতলা। ছেলে ও বৌমা খুন করে বলে অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় মহেশতলায়। কথায় বলে,”কুসন্তান যদিও বা হয় কুমাতা কদাপি নয়”।আর এই কুসন্তানের তালিকায় উঠে আসছে মহেশতলার আকড়া জগন্নাথ নগরের বিজয় নাথের নাম।কারণ দীর্ঘদিন ধরে বিজয় নাথও তাঁর মা প্রভা নাথের ওপর অত্যাচার করতো।এমনকি কলহে বাড়তি ইন্ধন জোগাত বিজয় নাথের স্ত্রী।স্ত্রী-পুত্রের অত্যাচারে দমবন্ধ হয়ে আসে বছর ৬৫-র প্রভা নাথের।নিত্য কলহ আর হুমকিতে প্রভাদেবী কোণঠাসা হয়ে পড়েন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।অভিযুক্ত বিজয় নাথ ও তাঁর স্ত্রীকে ধরে পুলিশ, শুরু করে জেরা। কেন এভাবে প্রবীণ মাকে অভিযুক্ত খুন করল ছেলে ?স্থানীয়রা প্রশ্ন করছেন,শুধু সম্পত্তির জন্য এভাবে কেউ এই ভয়ঙ্কর অপরাধ করতে পারে।
তাঁর এক মেয়ে রাঁচিতে ডাক্তারি পড়াশোনা করেন। লোকের বাড়ি কাজ করে এবং যখন যেরকম কাজ পেতেন তা করে পয়সা জমিয়েই তিনি তাঁর মেয়েকে পড়াশোনা করাতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর কষ্ট করে একটি টিনের ছাউনি ঘর তৈরি করতে পারলেও, পাশের ঘরটি আর তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিনই ওই ছোট ঘরটি ছেলে মাকে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু, পেশায় রাজমিস্ত্রি ছেলেকে প্রভাদেবী কোনওভাবেই সম্পত্তি লিখে দিতে চাননি। যা নিয়ে ছেলে ও বৌমার সঙ্গে প্রায়দিন ঝগড়া হত মায়ের। প্রতিবেশীদের দাবি, শুক্রবার শেষ দেখা গেছিল প্রভা নাথকে। শনিবার রাতে মহেশতলা থানার পুলিশ পৌঁছলে প্রতিবেশীরা জানতে পারেন প্রভাদেবী খুন হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেহে পচন ধরায় এবং অতিরিক্ত গন্ধ বার হওয়ায় ছেলেই বাধ্য হয়ে মহেশতলা থানায় ফোন করে মায়ের মৃত্যুর খবরটি দেয়।পুলিশ এসে অভিযুক্তদের ধরার পর শুরু করেছে জেরা।খুনের কিনারা করতে পুলিশি তদন্তে গতি এসেছে।