রাজনীতিরাজ্যের খবর

চোর স্লোগান শুনে মেজাজ হারান শুভেন্দু নিজের চটি খুলে তেড়ে গেলেন সাধারণ মানুষের দিকে !   

Suvendu lost his temper after hearing the thief's slogan and opened his chatti to the common people!

The Truth Of Bengal: নদিয়ার গাংনাপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর তিনি যখন আসছিলেন তখন একদল জনতা তাঁকে উদ্দেশ্য করে চোর চোর স্লোগান দেয়।তাতে মেজাজ হারান বিরোধী দলনেতা। নিজেকে সংযত না রাখতে পেরে মারমুখী হয়ে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী।মুখে অকথা –কুকথা বলেন,অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।ভাইরাল ভিডিয়োয়া তাঁর রুদ্রমূর্তি ধরা পড়ে।

কিভাবে বিরোধী দলনেতা চটি খুলে  তেড়ে যান ? সেই ভাইরাল ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই, শোরগোল পড়ে যায়।এবার  লোকসভা নির্বাচনে এই রানাঘাটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার জিতেছেন।জগন্নাথ সরকারকে জয়ী করার জন্য বিজেপি নেতা তথা শুভেন্দু অধিকারী, হাত জোড় করে ভোট চান। জনতা বিজেপির ওপর আস্থা রেখে ভোট দেন। যারজন্য বিজেপির প্রার্থী জিতে যান।কিন্তু ভোটের ফল বেরুনোর পর তাঁর ভোলবদল হয়ে গেছে।দেখা যাচ্ছে, যে মানুষের কাছে তিনি করজোড়ে ভোট চেয়েছিলেন,সেই মানুষকেই তিনি জুতো নিয়ে তেড়ে যেতে কুণ্ঠাবোধ করছেন না।গাংনাপুরের মানুষ বিরোধী দলনেতার এই উদ্ধত আচরণের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।

বিজেপির সমর্থকরাও শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকায় অস্বস্তিতে পড়েছে।গাংনাপুরের দলমত নির্বিশেষে মানুষ প্রশ্ন   করছেন,পথেঘাটে কেউ এই ধরণের মন্তব্য করতে পারেন,কিন্তু তাই বলে বিশ্বের বৃহত্তম দলের কোনও নেতার মুখে এই অশালীন মন্তব্য কেন শোনা যাবে ?কেন শুভেন্দু অধিকারী দলের বৈঠক বা জনতার সামনে মেজাজ ঠিক রাখতে পারছেন না তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।সমালোচকরা বলছেন,আসলে রানাঘাট দক্ষিণে বিজেপি এবার উপ-নির্বাচনে হেরে গেছে।তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে।তার মাঝে বিজেপির বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়ছে,তাই বিরোধী দলনেতাকে জনতার স্লোগানের মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও গাংনাপুরের স্থানীয় মানুষ মনে করছেন।তবে বিরোধী দলনেতার জন্য   জনজীবনে বিজেপি সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে বলেও অনেকের ধারণা।এখন ঘরে-বাইরে শুভেন্দু বিরোধী সুর চড়া হতে শুরু করায় পদ্মের কাঁটা তীক্ষ্ণ হচ্ছে বলেও পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

Related Articles