রাজ্যের খবর

তিন সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়ার সুপ্রিম নির্দেশ সিবিআইকে

Supreme Court directs CBI to submit additional status report within three weeks

Truth Of Bengal : মঙ্গলবার আরজি কর মামলা নিয়ে শুনানি চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। মামলা শুনছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ। তদন্ত এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে, রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবা কেমন চলছে এই সব নিয়ে চলছে সওয়াল-জবাব। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তারের ধর্ষণ-খুনের মামলায় সিবিআইয়ের পঞ্চম স্ট্যাটাস রিপোর্টকে স্বীকার করেছে, যা নিশ্চিত করেছে যে ৭ অক্টোবর অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল। শীর্ষ আদালত আরও বলেছে যে উভয় ক্ষেত্রেই তদন্ত হতে পারে এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক অনিয়মের তদন্তে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীও তুলে ধরেছে সিবিআই।

এনটিএফ-এর প্রথম বৈঠকে চারটি সাব গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন পক্ষের মতামত নেওয়া এবং এ বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করার জন্য। ২২ আগস্টের নির্দেশের ভিত্তিতে একটি ওয়েব লিংক তৈরি করা হয়েছে মতামত নেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে ১৭০০ ইনপুট এসেছে। ৭৮৮০ হাসপাতাল তাদের মতামত জানিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে খুব একটা ইতিবাচক অগ্রগতি এনটিএফ করতে পারেনি। ৯ সেপ্টেম্বরের পরে কোনও বৈঠক হয়নি। এদিন সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এনটিএফ-কে কাজ শেষ করতে হবে। সব গ্রুপগুলিকে নিয়মিত বৈঠক করতে হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে এনটিএফ-কে। এমনই নির্দেশ এদিন দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

সিবিআই রিপোর্টে ইঙ্গিত করা হয়েছে, আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অন্যদের ভূমিকা চলমান তদন্তের বিষয়। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্তে আরও স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।

দিন কয়েক আগেই আরজি কর মামলার তদন্তে প্রথম চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। সেখানে ‘মূল অভিযুক্ত’ হিসাবে সিবিআই এক জনের নামই দিয়েছে। আরজি করের ঘটনার পর পরই কলকাতা পুলিশ অভিযুক্ত হিসাবে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল। পরে তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে দেয়। সিবিআই সেই সিভিক ভলান্টিয়ারকেই ‘মূল অভিযুক্ত’ হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। এ ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের।

Related Articles