গাছ কাটলেই আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা,হুঁশিয়ারি বিধায়কের
Strict action will be taken against those who cut down trees, warns MLA

Truth Of Bengal : সবুজ নিধনে নামে কায়েমী চক্র। খবর পেয়ে হানা দেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। দেবানন্দপুরের কাজিডাঙা বামুনবাগানে গাছ কাটার ছক বানচাল হয়ে যায়।ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। বিধায়ক স্পষ্ট করেন,গায়ের জোরে গাছ কাটার চেষ্টা হলে কাউকে ছাড়া হবে না।সবুজ রক্ষায় জনপ্রতিনিধির এই ভূমিকার প্রশংসায় সবমহল।
চুঁচুড়া থানার আইসি এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারকেও বিষয়টা জানিয়েছেন বিধায়ক। আগামী দিনে একটিও গাছ নতুন করে না কাটতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি কথা দিয়েছেন।এলাকার বাসিন্দারাবলেন, ব্যান্ডেল কাজিডাঙ্গা বামনবাগান খুব শান্তিপ্রিয় জায়গা। আমরা মিলেমিশে থাকি এখানে সবাই। আমাদের পাশেই একটি আমবাগান রয়েছে সেখানে প্লটিংয়ের জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বনদপ্তর থেকে গাছ কাটার পারমিশন নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ গাছ কাটবে বলে অনুমতি নিয়েছে তার থেকে অধিক গাছ কাটা হচ্ছে। প্রশাসন সবটাই তদন্ত করে দেখছে।
কোনওভাবেই যে গাছ কাটার প্রবণতা মেনে নেওয়া হবে না তা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক।রাজ্য সরকার চায়,বাংলায় বনাঞ্চলের সংখ্যা বাড়ুক,বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সবুজের ঘনত্ব বাড়ানোর প্রয়াসও বেশ নজরকাড়ছে।তারমাঝে যাঁরা কালিদাসের মতো গাছ কেটে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাঁদের রেয়াত করতে নারাজ রাফ অ্যান্ড প্রশাসনও জনপ্রতিনিধিরা।স্থানীয় মানুষকে আশ্বস্ত করেন পরিবেশ রক্ষায় সরকার সজাগ রয়েছে।
সবুজ ফিকে হলে আমাদের বড় ক্ষতি।পরিবেশ-পরিস্থিতির অবনতি হতে বাধ্য।উষ্ণায়নের আঁচে পুড়তে থাকা মানবসমাজের স্বার্থে রাজ্য সরকার পরিবেশ রক্ষায় বাড়তি নজর দিয়েছে।যেখানে সেখানে গাছ কেটে ফেলার বদভ্যাস দেখলেই প্রশাসনের কর্তারা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে।এবার সেই পথে হেঁটে হুগলির দেবানন্দপুরে গাছ কাটার চক্রের স্পর্ধার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন বিধায়ক অসিত মজুমদার।স্থানীয়রা অভিযোগ করেন,কায়েমী চক্র ৯-টি গাছ কেটে মুনাফায় পকেট ভরেছে।নারী পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষই এর বিহীত চেয়ে সরব হয়।