
The Truth of Bengal: সময়টা ষোড়শ শতকের মধ্যভাগ। বাংলায় তখন শাক্ত-বৈষ্ণবের ঘোর বিরোধ। শ্রীচৈতন্যের ভক্তিরসে তখন ডুব দিয়েছে বাংলা। অন্য দিকে বীরাচারী তান্ত্রিকেরা মেতে রয়েছেন শবসাধনা, নরবলি ইত্যাদি নানা ভয়ঙ্কর গুহ্য ক্রিয়াকলাপে। সেই সময় কালী পুজিত হতেন মূর্তিতে নয়, শিলাখণ্ড, যন্ত্র এবং ঘটে। শান্তিপুরের অদ্বৈতাচার্যের উত্তরপুরুষ মথুরেশ গোস্বামী শাক্ত-বৈষ্ণব বিরোধ মেটাতে কৃষ্ণানন্দের প্রপৌত্র সর্বভৌম আগমবাগীশের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন।
এতে নবদ্বীপের তৎকালীন শাক্ত সমাজ সর্বভৌমকে একঘরে করে সমাজচ্যূত করায় মথুরেশ তাঁর মেয়ে জামাইকে শান্তিপুরে নিয়ে আসেন। এর পর সর্বভৌম বড়গোস্বামীবাড়ির অদূরে মঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠা করে সেখানে কালীপুজোর প্রচলন করেন।সেই শান্তিপুরের কাছেই রয়েছে শ্রীধাম নৃসিংহপুরের কালনাঘাট।সেখানেই চল রয়েছে কালীপুজোর। পৌষ সংক্রান্তিতে বিশেষভাবে ৫২হাত কালীর পুজো করা হয় রীতি মেনে। রাস উৎসবের শ্রেষ্ঠ পিঠস্থান শ্রীধাম শান্তিপুর ।
শান্তিপুরের কাছেই মহাপ্রভু লীলা করতে করতে, যে ঘাট দিয়ে গঙ্গা পার হয়েছিলেন সেই শ্রীধাম নৃসিংহপুর কালনাঘাট দিয়ে।আর সেই ঘাটের কাছে এই মার্তৃমূর্তির পুজো শাক্তও বৈষ্ণব ভক্তদের কোথায় যেন মিলিয়ে দেয়। পৌষ সংক্রান্তিতে শুরু হয় দেবীর পূজা অর্চনা।টানা দশ দিন ধরে চলে দেবীর নিত্য পূজো এবং ইন্দিরা গান্ধী গ্রামীণ মেলা । দীর্ঘ দু’বছর করোনা আবহে সেভাবে মহাসমারোহে পুজো তারা করে উঠতে পারেননি। তবে এবার একেবারে মহাসমরাহো পুজোর আয়োজন করা হয়েছে ।এবার রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা।